The abandoned Balkar crew is finally on its way home after a hunger strike অনশন ধর্মঘটের পর পরিত্যক্ত বাল্কার ক্রু অবশেষে বাড়ি ফেরার পথে লাইটহাউজ নিউজ ক্লাব লাইটহাউজ নিউজ ক্লাব প্রকাশিত: ২:৩৬ অপরাহ্ণ, জুন ১৯, ২০২১ লাইট হাউজ ফাইল ফোটো মেরিটাইম ডেস্ক : অনশন ধর্মঘটের পর পরিত্যক্ত বাল্কার ক্রু অবশেষে বাড়ি ফেরার পথে বলে আন্তর্জাতিক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন (আইটিএফ) জানায়। তারা বলেন, পরিত্যক্ত বাল্কার উলার ১৯ জন ক্রুমেম্বার শীঘ্রই বাড়ি ফিরবেন। শেষ পর্যন্ত তাদের দুই বছর যাবৎ অগ্নিপরীক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে। তবে এটা সবার জন্য দুই বছরের অগ্নিপরীক্ষার অবসান হলেও, তা এক জন ক্রু মেম্বারের জন্য ৩১ মাস অন বোর্ডে থাকা অগ্নিপরীক্ষার সমাপ্তি চিহ্নিত করবে। আইটিএফ জানায়, উলা জাহাজের মালিক আসওয়ান ট্রেডিং অ্যান্ড কন্ট্রাক্টিং আর্থিক সহায়তায় বা গন্তব্যহীন বন্দর ছাড়াই ২০১৯ সালে জাহাজটিকে ইরান উপকূলে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছেড়ে দেয়। অতঃপর জাহাজটির ২৫ জন নাবিক সদস্যের জন্য আস্তে আস্তে খাওয়ার পানি ও খাবারের সংকট দেখা দিতে শুরু করে এবং তারা বিনা বেতনে কাজ করে চলে। পরর্বতীতে আইটিএফ মিডেলিস্ট করডিনেটর, মোহাম্মদ আরাচেদী জাহাজ মালিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় fb@thelighthouse.com.bd এবং ক্রুদের কিছু পারিশ্রমিক মালিকের কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করেন। এরপর কেসটি ২০২০ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায় এবং কোভিড-১৯ শাটডাউন পরিস্থিতি মামলাটিকে পুরোপুরি আটকে রাখার চেষ্টা করে। আইটিএফ কুয়েতের শৈয়বা পোর্ট দিয়ে জাহাজ থেকে নাবিকদের নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করেন। কিন্তু ঐ সময় কুয়েতে কোভিড সম্পর্কিত সীমান্ত গতিবিধির উপর বিধিনিষেধের ফলে তা সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে, আবার মজুরি প্রদান অন্তর্বর্তী হয়ে উঠে। এরপর অক্টোবরের দিকে কুয়েতে গতিবিধি নিষেধাজ্ঞাগুলো উঠে গেলে ছয়জন নাবিক জাহাজ থেকে নেমে (বিনা মজুরি ব্যতীত) বাড়িতে ফিরে যায়। আর বাকী ১৯ জন অন বোর্ডে রয়েযায় এবং এখনও তারা তাদের বেতনের জন্য অপেক্ষা করছেন। অতঃপর এই অগ্নিপরীক্ষার শেষ না পেয়ে সর্বশেষে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে, নাবিক সদস্যরা অনশন শুরু করেন। আইটিএফের সহায়তায় তারা কুয়েত কর্তৃপক্ষকে জাহাজের মালিকের উস্থিতিতে তাদের মজুরি প্রদান করতে এবং বাড়ি ফিরতে সহায়তা করার জন্য বলা হয়। কিন্তু কুয়েত কর্তৃপক্ষ তাদের বেতন দিয়ে সহায়তা করতে অস্বীকৃতি জানায়, তবে তারা প্রয়োজনে ভ্রমণের ব্যবস্থা করে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। এই স্ট্যান্ডঅফ জুন অবধি চলতে থাকে, অবশেষে আইটিএফ জানতে পারে যে, নাবিকরা কুয়েত সরকারের ব্যবস্থায় বাড়ি চলে যাবে। বাংলাদেশী সহ বিভিন্ন দেশের নাবিকদের মজুরি এবং দেশে ফিরতে অনশন কর্মসূচি কিন্তু তাদের বেতন ফেরত দেয়া এখনও অনিশ্চিত রয়েছে। তবে নাবিকরা তাদের মজুরি আদায় করতে চাইলে তাদেরকে মামলার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সফল হলে জাহাজটি বিক্রি হবে এবং তাদের বেতন সহ বাড়িতে ফেরার ব্যবস্থা করা হবে। অনশন ধর্মঘটের পর পরিত্যক্ত বাল্কার ক্রু অবশেষে বাড়ি ফেরার পথে SHARES মার্চেন্ট মেরিন সংবাদ বিষয়: