চলতি অর্থবছরে বড় রেকর্ড গড়লো চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস

প্রকাশিত: ১০:০৯ পূর্বাহ্ণ, জুন ৩০, ২০২১
লাইট হাউজ ফাইল ফোটো

[চট্টগ্রাম] দেশে চলতি অর্থবছরে বড় রেকর্ড গড়লো চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস । বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি  ধরা হয় চট্টগ্রাম বন্দরকে এবং আমদানি-রপ্তানির ৯২ শতাংশ সম্পন্ন হয় এই বন্দর দিয়ে।

যেখানে শুধুমাত্র এই বন্দর দিয়েই  বছরে রাজস্ব আদায় হয় হাজার হাজার কোটি টাকা। আর এ কারণেই বন্দরকে সচল রাখা হয়।

গতবছর লকডাউন শুরু হওয়ার পরেও চিকিৎসা সামগ্রী আমদানি করা এবং দেশের বড় বড় প্রকল্প গুলোর যন্ত্রপাতি আমদানি করার লক্ষ্যে বন্দর সচল রাখা হয়েছিল। আর তখন থেকেই এ পর্যন্ত বন্দর সচল আছে।

যার কারণে চলতি অর্থবছরের একদিন বাকি থাকতেই ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আদায়ের রেকর্ড গড়লো চট্টগ্রাম কাস্টমস।

গত অর্থবছরের তুলনায় রাজস্ব প্রবৃদ্ধি বেড়েছে প্রায় ২৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আর করোনার মধ্যেই এই ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি চট্টগ্রাম কাস্টমসের ইতিহাসের বিরাট সফলতা বলে মনে করছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস কতৃপক্ষ।

চলতি অর্থবছর শেষ হতে আরো একদিন বাকি আছে তাই সামগ্রিক আদায় বাড়লে ঘাটতির পরিমাণও কমে আসবে বলে ধারণা করছেন তারা।

গত অর্থবছরের ২৭ জুন পর্যন্ত চট্টগ্রাম কাস্টমসে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৪০ হাজার ৮৩১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

আর চলতি অর্থবছরের এই সময়ের মধ্যে ৯ হাজার ৯৭৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বেড়ে মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫০ হাজার ৮০৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা।

চট্টগ্রাম কাস্টমস সূএে জানা যায়, চলতি অর্থবছর রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৪ হাজার ৩০৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

আর সে হিসেবে জুলাই থেকে মে পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৫৯ হাজার ২৬১ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

অন্যদিকে দেশে করোনা ঢেউ আর লকডাউনের মধ্যে দিয়ে বন্দর সচল রেখে দিন রাত ২৪ ঘণ্টা পণ্য উঠানামা করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারে হঠাৎ বিস্ফোরণ! আগাম ঘোষণা ছাড়াই ডেঞ্জারাস কার্গো আমদানি

যার কারণে এবার রেকর্ড ভিত্তিক কার্গো হ্যান্ডেলিং করেছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।

আমরা জানি যে চট্টগ্রাম বন্দর কখনোই ৩০ লাখের বেশি কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং করতে পারেনি।

আর গতবছর যেখানে ২৭ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং করা হয়েছিল, এবছর সেটা ৩০ লাখ পেরিয়ে গেছে এবং চলতি অর্থবছর শেষ হওয়ার আরো একদিন বাকি আছে।

পাশাপাশি খোলা পণ্যের উঠানামাও অনেকটা বেড়েছে। যেখানে গতবছর ছিল দশ কোটি মেট্রিক টন, এবছর সেটা ১১ কোটি মেট্রিক টন পেরিয়ে গেছে।

আর জাহাজের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, গতবছর বন্দরে জাহাজ এসেছিল ৩,৭০০টি, সেখানে এবছর জাহাজ আসার পরিমাণ ৪,০০০ পেরিয়ে গেছে এবং যেহেতু চলতি অর্থবছর শেষ হওয়ার আরো একদিন বাকি আছে সেহেতু আরো কয়েকটি জাহাজ আসার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা বলছেন যে, দেশে যেহেতু কয়েকটি মেগা প্রকল্প চলছে তার পণ্য আমদানি হচ্ছে এবং একইভাবে এই করোনার মাঝে আমাদের দেশের গার্মেন্টস শিল্পগুলোও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে একটি বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে।

চলতি অর্থবছরে বড় রেকর্ড গড়লো চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস , এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার ফখরুল আলম বলেন,

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে চট্টগ্রাম কাস্টমসের ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করাটা সোজা কথা নয়।

তারা রাজস্ব ফাঁকি রোধে পুরো বছর তৎপর ছিলেন। এছাড়া সঠিক এইচএস কোডে পণ্য শুল্কায়ন করাতেও রাজস্ব আদায় বেড়েছে বলে জানান তিনি।

আরোও পড়ুন…