The largest ship of the Iranian navy sank in the fire আগুন লেগে ডুবে গেলো ইরানী নৌবাহিনীর বৃহত্তম জাহাজ লাইটহাউজ নিউজ ক্লাব লাইটহাউজ নিউজ ক্লাব প্রকাশিত: ১২:০৬ অপরাহ্ণ, জুন ৩, ২০২১ লাইট হাউজ ফাইল ফোটো মেরিটাইম ডেস্ক : আগুন লেগে ডুবে গেলো ইরানী নৌবাহিনীর বৃহত্তম জাহাজ IRIS KHARG। ইরান বার্তা সংস্থা জানায়, ইরান নৌবাহিনীর বৃহত্তম জাহাজ IRIS KHARG বুধবার ভোর রাতে হোর্মোজগান প্রদেশের জাস্ক বন্দরের নিকটে ওমান উপসাগরে প্রায় ২৪ ঘন্টা আগুন জলার পর জাহাজটি ডুবে যায়। IRIS KHARG জাহাজটি ছিল ইরান নৌবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ জাহাজ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে আগুন নেভানোর প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পরে বুধবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে জাহাজটি ডুবে যায়। তবে জাহাজে থাকা ৪০০ জন ক্রু কে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। আর সামান্য দগ্ধ হওয়া প্রশিক্ষণার্থী ২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৯ই মে নিয়মিত ইরানী নেভাল ও সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, IRIS KHARG জাহাজটি আলবার্জ সহ আলভান্ড ক্লাস নামের একটি ফ্রিগেটের সাথে আন্তর্জাতিক জলে “প্রশিক্ষণ, গোয়েন্দা ও যুদ্ধের মিশনে” আছেন। সেনাবাহিনীর প্রেসের মুখপাত্র বেহজাদ জাহানিয়ান বলেছেন, বুধবার আগুন লাগার কারণ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তিনি ডুবে যাওয়া জাহাজটিকে ইরানের অন্যতম উন্নত এবং মাকরানের পরে মধ্য প্রাচ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম জাহাজ হিসাবে চিহ্নিত করেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকে আগুনের কারণ হিসাবে প্রাথমিক বিস্ফোরণ উল্লেখ করেছেন। ইস্রায়েলের বাহ্যিক গোয়েন্দা সংস্থার চীফ অফ মোস্সাদ, ইয়োসি কোহেন মঙ্গলবার বলেছে, “তারা শত্রু ইরানের অন্তরে প্রবেশ করেছে।” কোহেন ২০১৮ সাল থেকে এই সকল অপারেশনের গতি সম্পর্কেও উল্লেখ করে বলেন, ২০২০ সালের জুলাইয়ের শুরুতে, একটি বিস্ফোরণ নাটানজ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সংস্থার একটি সংবেদনশীল অংশে আঘাত করে এবং নতুন মেশিনগুলোর জন্য সমাবেশ হল ধ্বংস করে দেয়। এর পরে নভেম্বরে পারমাণবিক বিজ্ঞানী মহসেন ফখরিজাদেহকে হত্যা এবং ১১ এপ্রিল নাটানজে হামলা হয়। ইরানের বিপ্লব রক্ষী বাহিনী দ্বারা পরিচালিত সাভিজ নামের একটি জাহাজ কেও এরিটিরিয়া উপকূলে ৬ এপ্রিল লোহিত সাগরে একটি লিম্পেট মাইন দ্বারা আক্রমণ করা হয়েছিল বলেও তিনি জানায়। একজন আমেরিকান কর্মকর্তা জানায়, ইসরাইলী জাহাজে ইরানি হামলা চালানোর অভিযোগে ইসরাইল এই হামলার প্রতিশোধ নিয়েছে। IRIS KHARG KHARG একটি অক্সিলারি শিপ, যা সমুদ্রের মধ্যে জ্বালানী এবং ড্রাই কার্গো স্টোর উভয়ই সরবরাহ করতে পারে। আগুন লেগে ডুবে যাওয়া ইরানী নৌবাহিনীর বৃহত্তম জাহাজ ২০০ মিটারেরও বেশি দীর্ঘ ছিল। গেলো ১১,০০ টনেরও বেশি স্ট্যান্ডার্ড লোড এবং পুরো লোডে ৩৩,০০০ টন পর্যন্ত স্থানান্তরিত করতে পারে। জাহাজটির GRT ১৮,৫০০ ছিল টন এবং এতে হেলিকপ্টারও ল্যান্ড করতে পারতো। আরোও পড়ুন… মোংলা বন্দরে ট্যাঙ্কার জাহাজ অগ্নিকান্ডে ১ নাবিকের মৃত্যু ও আরেকজন গুরুতর অবস্থায় SHARES নেভী এবং কোস্টগার্ড বিষয়: