আদেন উপসাগরে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজের ১৫ নাবিক উদ্ধার

প্রকাশিত: ৩:৩৫ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০২১
লাইট হাউজ ফাইল ফোটো

মেরিটাইম ডেস্ক : ৭ই জুন, মার্কিন নৌবাহীনির সীলিফ্ট আদেন উপসাগরে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজের ১৫ নাবিক সদস্যকে উদ্ধার করেন।

গত সোমবার, যুক্তরাজ্য মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস (ইউকেএমটিও) ওয়াচ সেন্টার থেকে মার্কিন নৌবাহীনির টি-এও ইউএসএনএস প্যাটাক্সেন্ট জাহাজকে অবহিত করেন।

তারা জানায়, ৩০ বছরের পুরনো গ্যাবন পতাকাবাহী ফ্যালকন লাইন নামের একটি কার্গো জাহাজ তার প্রবণতা হারিয়ে ফেলেছে এবং জাহাজটিতে দ্রুত গতিতে পানিও প্রবেশ করছে।

অতঃপর প্যাটাক্সেন্ট দূর্ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন এবং দ্রুত গতিতে জাহাজের অবস্থানে এগিয়ে যায়।

ফ্যালকন লাইন জাহাজটি সম্পূর্ণ ডুবে যাওয়ার আগেই রেসকিউ টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়।

পরে প্যাটাক্সেন্ট ঝুঁকিপূর্ণ কার্গো জাহাজের ক্রু মেম্বারদের জন্য একটি ঢাকনা তৈরি করেন, যাতে তারা নিরাপদে তাদের লাইফ রেফটে উঠতে পারে।

রুক্ষ সমুদ্র এবং তীব্র বাতাস থাকা সত্ত্বেও রেসকিউ টিম ঝুঁকিপূর্ণ জাহাজের সমস্ত ক্রুম্বারকে উদ্ধার করেন এবং নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়।

তারা উদ্ধারকৃতদের জন্য খাবার এবং প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেন।

ক্রু মেম্বারদের উপকূলে পৌঁছে দেওয়ার উপযুক্ত অবস্থান নির্ধারণের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫তম ফ্লিট ফালকন লাইনের মালিক এবং অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সাথে কাজ করছে।

টাস্কফোর্সের (টিএফ) ৫৩ কমান্ডার ক্যাপ্টেন মাইকেল ও’ড্রিস্কল (ইউএসএন) বলেন, জরুরী সংবাদের ভিত্তিতে আদেন উপসাগরে ডুবে যাওয়া ফ্যালকন লাইন কার্গো জাহাজের ১৫ নাবিক সদস্যকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

তিনি বলেন,”পেশাদার মেরিনার হিসাবে সমুদ্রে যে কোন প্রয়োজনে সহায়তা করা তাদের বাহিনীর কর্তব্য।”

জাহাজের যাত্রী এবং বেসামরিক নাবিকদের সহায়তার জন্য প্যাটাক্সেন্ট দ্বারা যখনই সম্ভব হবে তারা নিয়মিত সহায়তা করে যাবে।

ফ্যালকন লাইন ১৯৯১ সালে নির্মিত প্রায় ৩,২০০ ডিডাব্লিউটি’র কার্গো জাহাজটি কাতারে মালিকানাধীন বলে জানা যায়।

২০২০ সালে বান্দর আব্বাসে জাহাজটির সর্বশেষ পিএসসি ইন্সপেকশন হয়েছিল।

পিএসসি পরিদর্শকরা জাহাজের প্রধান ইঞ্জিন, হ্যাচ কভার, ইমারজেন্সি জেনারেটর এবং সার্টিফিকেট সহ মোট ১৮ টি ঘাটতি খুঁজে পেয়েছিলেন।

কিন্তু এসব সমস্যা সমাধান করতে জাহাজ কতৃপক্ষ তেমন কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে তদন্তে উঠে আসে।

আরোও পড়ুন…

২০২৬ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী শিপিং ইন্ডাস্ট্রিতে নাবিক সংকটের আশঙ্কা