The crew change crisis is getting worse day by day

ক্রু পরিবর্তন সংকট দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে

প্রকাশিত: ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০২১
লাইট হাউজ ফাইল ফোটো

মেরিটাইম ডেস্ক : বিশ্বের শীর্ষ দশ শিপ ম্যানেজমেন্টের তথ্য অনুযায়ী, ক্রু পরিবর্তন সংকট যা গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে সমুদ্র শিল্পকে জর্জরিত করছে এবং  দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে ।

নেপচুনের সর্বশেষ মাসিক ঘোষণা অনুযায়ী, জাহাজে অন বোর্ড থাকা নাবিকদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েও পুন:রায় কাজ করা নাবিকের সংখ্যা গত মাসে ৭.২% থেকে বেড়ে ৮.৮% এ অব্যাহত রয়েছে।

আর ১১ মাসেরও বেশি সময় ধরে জাহাজে নাবিকদের সংখ্যা ০.৪% থেকে ১% এ এসে দাড়িয়েছে।

মেরিটাইম লেবার কনভেনশনে বলা হয়,  যে কোন নাবিক ছুটি ছাড়াই একটি জাহাজে সর্বোচ্চ এগার মাস সময়কাল কাজ করতে বাধ্য থাকবে।

তবে গত মে মাসে সূচক প্রবর্তনের পর থেকে, ১৫০%  আপেক্ষিক বৃদ্ধি অনুসারে ১১ মাস চুক্তিতে জাহাজে কর্মরত নাবিকদের সংখ্যা ০.৪% থেকে বেড়ে ১% হয়েছে।

অন্যদিকে চুক্তি শেষ হওয়ার পরেও জাহাজে কর্মরত নাবিকদের সংখ্যা ৫.৮ শতাংশ থেকে ৮.৮ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে, যা ৫১.৭ শতাংশ আপেক্ষিক বৃদ্ধির সাথে মিলে যায়।

গ্লোবাল মেরিটাইম ফোরামের গবেষণা বিভাগের প্রধান ক্যাস্পার সাগার্ড বলেন, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেখা যায় যে ক্র পরিবর্তন সংকট খুব বেশি খারাপের দিকে যাচ্ছে।

এক্ষেত্রে সমুদ্র যাত্রীদের সুরক্ষা এবং তারা নিরাপদে দেশে ফিরতে পারে কিনা তা নিশ্চিত করা এবং ক্রু সরবরাহ করার জন্য সমস্ত স্টকহোল্ডার্সদের একত্রে কাজ করা জরুরী বলে মনে করেন তিনি।

প্রায় দেড় বছরেরও বেশি সময় যাবত এই ক্রু পরিবর্তন সংকট চলছে এবং তার অন্যতম কারণ সমুদ্র যাত্রী ও তার পরিবারের অসুস্থতা।

আন্তর্জাতিক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক স্টিফেন কটন বলেন, ক্রু পরিবর্তন সংকট পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে ।

তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাপী সরকার কর্তৃক মৌখিক প্রতিশ্রুতির প্রয়োজন নেই,

এতে আমাদের কঠোর পদক্ষেপ নেয়া দরকার যাতে সরকার নিরাপদে ক্রু পরিবর্তন পরিচালনা করতে দেয়।“

নাবিকদের আন্তর্জাতিক ভাবে চলাচল নিষেধাজ্ঞার আওতা মুক্ত রাখার দাবী

নেপচুন ক্রু পরিবর্তন সূচকে ঘোষণা করেন বর্তমানে সম্মিলিতভাবে প্রায় ৯০,০০০ সমুদ্র যাত্রী জাহাজে অন বোর্ড আছেন।

আর বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানীয় দশটি শিপ ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সমষ্টিগত তথ্যর উপর ভিত্তি করেই নেপচুন এই ক্রু পরিবর্তন সূচকটি তৈরি করেন।

সরবরাহ করা এসব তথ্য ছাড়াও সম্পৃক্ত শিপ ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলো আরো বেশ কয়েকটি কারণও তুলে ধরেন যা গত মাসে ক্রু পরিবর্তনের উপর বেশ প্রভাব ফেলে।

তারা বলেন, ক্রমাগত উচ্চ সংক্রমণের হার বৃদ্ধি এবং পাশাপাশি দেশীয় লকডাউনের কারনে ক্রু পরিবর্তনকে চ্যালেঞ্জ করে এবং ক্রু চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে।

অনেক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে, বিশেষ করে ফিলিপাইনে প্রতিদিন অভ্যন্তরীণ বিমান হ্রাস এবং পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান থেকে ভ্রমণ করা নাবিকদের সরকার ঘোষিত ভ্রমণ বিধিনিষেধের জন্য সামুদ্র যাত্রীদের ঘরে ফিরতে এবং জাহাজে অন বোর্ড হতে বাধা সৃষ্টি করে।

শীর্ষস্থানীয় সামুদ্রিক নাবিক গোষ্ঠীর দেশগুলো নাবিকদের কম টিকা দিচ্ছে বলে সমুদ্র যাত্রীদের সীমিত ভ্যাকসিনেশনের এক্সেস রয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অফ শিপিং এর সেক্রেটারি জেনারেল গাই প্লাটেন বলেন, ক্রু পরিবর্তন সংকট নিরসনে সমস্ত সমুদ্র নাবিকদের ভ্যাকসিনেশনে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

এক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। তবে সমুদ্রের বিশাল একটি অংশ এখনোও টিকা দিতে পারছে না।

আর ঐসকল দেশগুলোকে আন্তর্জাতিক সমুদ্র যাত্রীদের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি বলে জানান তিনি।

আরোও পড়ুন…