চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারে হঠাৎ বিস্ফোরণ! আগাম ঘোষণা ছাড়াই ডেঞ্জারাস কার্গো আমদানি

প্রকাশিত: ৪:৫০ অপরাহ্ণ, মে ২৫, ২০২১
লাইট হাউজ ফাইল ফোটো

মেরিটাইম ডেস্ক :   চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারে হঠাৎ বিস্ফোরণ, আগাম ঘোষণা ছাড়াই ডেঞ্জারাস কার্গো আমদানি করার সন্ধেহ করছে বন্দর কতৃপক্ষ।

শনিবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের আট নম্বর ইয়ার্ডে এলাকায় একটি কন্টেইনারে হঠাৎ বিস্ফোরণের পর আগুন লেগে যায়।

ফায়ার সার্ভিসের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পায় চট্টগ্রাম বন্দর।

অভিযোগ উঠেছে কন্টেইনারটিতে বিপদজনক কেমিক্যাল থাকলেও তার কোনো আগাম ঘোষণা ছিল না।

এমনকি ঐ কন্টেইনারে বিপদজনক কার্গো হিসেবে কোন সতর্কতামূলক স্টিকারও লাগানো ছিল না।

সাইফ মেরিটাইম লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জহীর বলেন, “ডেঞ্জারাস গুডস অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ।

সেক্ষেত্রে আমরা যদি এটাকে ঠিকভাবে হ্যান্ডেল না করি তাহলে এটা অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ যেটা আমাদের বৈরুতের অগ্নিকাণ্ডের একটা প্রমাণ।”

কার্গো গুলোকে জাহাজ থেকে সতর্কতার সাথে আনলোড করে নিরাপদ দূরত্বে রাখার নির্দেশনা রয়েছে।

কিন্তু বর্তমানে এ ধরনের বিপদজনক কার্গো অনুমতি ছাড়া বা মিথ্যা ঘোষণায় আনা হয়েছে কিনা তার অনুসন্ধানে নেমেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক জানান, এ সকল বিপদজনক কার্গো হ্যান্ডেলিং করার জন্য তাদের হ্যান্ডেলিং প্রসিডিউরটা হচ্ছে ভিন্ন। সেই ব্যবস্থাগুলো তারা সব সময় নিয়ে থাকেন।

তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ ধরনের রং ডিক্লারেশনে কেউ কোনো মালামাল আনে কি না,  সে বিষয়টি বন্দর কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখছেন এবং তদন্ত কমিটি বিষয়টি বিস্তারিত তদন্ত করবেন।

বিপদজনক এবং হ্যাজার্ড কার্গো দ্রুত খালাস নিতে সম্প্রতি বন্দর এর পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বন্দরকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে ডেঞ্জার এবং হ্যাজার্ড কার্গোর বিষয়ে আরো বেশি কঠোর হওয়ার কথা বলছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।

তারপরেও আমদানিকারকের গড়িমসির ফলে ক্রমশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে চট্টগ্রাম বন্দর।

এ অবস্থায় বন্দরকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে বিপদজনক এবং হ্যাজার্ড কার্গো গুলো বন্দরের পরিবর্তে শহরের বাহিরে বিশেষায়িত অফ ডকে খালাসের পরামর্শ শিপিং এজেন্টদের।

শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন, বন্দরের বাহিরে যেকোনো একটি অফ ডকে এ ধরনের ডেঞ্জারাস পণ্যগুলো ডাম্পিং করা হয় এবং সেখানে যদি কাস্টম প্রক্রিয়াগুলোও সমাধান করা হয় তাতে করে বন্দর এ ধরনের ঝুঁকি থেকে মুক্ত  হবে এবং পাশাপাশি শহরবাসীও মুক্ত থাকবে বলে মনে করেন তিনি।

আমদানি-রপ্তানি শুল্ক

দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ৯২ শতাংশ সম্পন্ন হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েই।

আর বছরে অন্তত ৫০ হাজার কোটি টাকার শুল্ক আদায় হয় এসব আমদানি-রপ্তানি পণ্য থেকে।

চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারে হঠাৎ বিস্ফোরণ, আগাম ঘোষণা ছাড়াই ডেঞ্জারাস কার্গো আমদানি

আরোও পড়ুন…

মোংলা বন্দরে ট্যাঙ্কার জাহাজ অগ্নিকান্ডে ১ নাবিকের মৃত্যু ও আরেকজন গুরুতর অবস্থায়