জাহাজের মাস্টারের দক্ষতায় রক্ষা পেল কার্গো এবং নাবিক

প্রকাশিত: ৫:৪২ পূর্বাহ্ণ, জুন ২২, ২০২০

মোঃ মজিবুলহকঃ গত ২০ শে জুন রাতে চট্টগ্রাম থেকে মটর ডাল লোড করে এম,ভি নিউ গোলাম রহমান জাহাজটি (যশোর) নোয়াপাড়া নদীবন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যান, কিন্তু ২১শে জুন  জাহাজটি যখন চট্টগ্রাম লাইটহাউজ থেকে ০৭ নটিক্যাল মাইল দুরে যায় বৈরী আবহাওয়ার কারনে সাগর উত্তাল হয়ে পড়ে, ১০-১৫ফুট উচু-উচু ঢেউগুলি যখন জাহাজের উপর আঁচড়ে পড়ে ঢেউয়ের আঘাতে জাহাজটির ডেক ফেটে যায়, আরো শোনা যায় লাইটারেজ জাহাজটি এমতাবস্থায় একটি মাদার ভেসেলের এ্যাংকর চেইনের উপরে গিয়ে পড়ে ও জাহাজের তলা ফুটো হয়ে যায় জাহাজে কার্গো হোলের ভিতরে পানি ঢুকতেছে এবং জাহাজের ফ্রিবোর্ড কমতে থাকে।

আভ্যন্তরিন নৌযানে ১ম শ্রেণির একজন ইঞ্জিন চালক মোঃ ফকরুল ইসলাম জানান, বিপদগ্রস্ত জাহাজটিকে বিপদকালীন মুহুর্ত্বে সহযোগিতায় আরেক লাইটারেজ জাহাজ এম, ভি এন এস আর ০২ এর ১ম শ্রেণির ইনচার্জ মাষ্টার মোঃ দিদারুল আলম এগিয়ে যান এবং ঐ জাহাজের মাষ্টারকে বিপদকালীন সময়ে সাহস পরামর্শে বিশেষ ভূমিকা রাখেন, দিদারুল আলম মাষ্টারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মুঠো ফোনে জানানঃ আমি আমার জাহাজ নিয়ে যখন (সি বিচ) পতেঙ্গা অবস্থান করছিলাম তখন বিএসএফ’য়ে শুনতে পাইঃ এম,ভি নিউ গোলাম রহমান লাইটারেজ জাহাজের এর মাষ্টার সাহেব নৌ বাহিনী ও কোষ্টগার্ডসহ আউটার এবং সি বিচ এলাকায় থাকা লাইটারেজ জাহাজ সমূহের সহযোগিতা চাচ্ছিলেন, বলছিলেনঃ আমি বিপদগ্রস্ত অবস্থায় অমুক লোকেশনে আছি ,আমাদের বাঁচান,জনাব দিদারুল আলম মাষ্টার আরও জানানঃ তখন যদিও আবহাওয়া খারাপ তবও তাদের আর্তনাদ শুনে মনোবল বাড়িয়ে তাদের সহযোগিতার জন্য এগিয়ে যাই এবং কাছাকাছি গিয়ে যখন জাহাজের মাষ্টারের সাথে কথা বলে বললাম ভয়ের কারন নেই, জাহাজের ফ্রি বোর্ড এখনো অনেকই আছে সেহেতু জাহাজ ডুবলেও কিছু সময় লাগবে আমি আপনার পাশাপাশি আছি, আপনি জাহাজ চট্টগ্রাম উপকূলের দিকে চালিয়ে রাখেন ইনশাআল্লাহ নাবিক এবং জাহাজ উভয়টি বেঁচে যাবে, দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজের মাষ্টার তখন পুরো আরপিএম ইঞ্জিন চালিয়ে সি বিচ চরায় এনে ঠেকান, জানা যায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষও এসে পৌঁছেছেন। জাহাজের ১৪জন নাবিক সুস্থ স্বাভাবিক আছে বলে জানা যায়, মাল খালাসের পর হয়তো রিপিয়ারিং জন্য জাহাজটি ড্রাই ডকে নেওয়া হবে।