দেশের বেসরকারী ইনল্যান্ড টার্মিনাল থেকে ভারতে আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহনের অনুমতি

প্রকাশিত: ১২:০৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০২০
লাইট হাউজ ফাইল ফোটো

নিজস্ব সংবাদদাতা : এখন থেকে নদীপথে বেসরকারী ইনল্যান্ড কন্টেইনার টার্মিনাল (আইসিটি) থেকে ভারতে আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহন করা যাবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত ২৫ নভেম্বর বেসরকারী সামিট এলায়েন্স পোর্ট টার্মিনালকে এই অনুমতি দিয়েছে। এতদিন শুধুমাত্র সরকারী পাঁনগাও ইনল্যান্ড কন্টেইনার টার্মিনাল থেকে আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহনের সুযোগ ছিল। নতুন আদেশে বেসরকারী খাত এই সুযোগ পেল এবং দুদেশের বাণিজ্য নতুন গতি পাবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

নতুন আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক চুক্তির অধীনে মুন্সিগঞ্জের মোক্তারপুরে অবস্থিত সামিট এলায়েন্স পোর্ট টার্মিনাল থেকে বাল্কে বা খোলা জাহাজে আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহন করা যাবে। তবে কাস্টমসের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে পাঁনগাও কাস্টমসের মাধ‌্যমে। মোট ৩৭ ধরনের পণ্য পরিবহন করা যাবে এই আদেশে। সেগুলো হলো, চাল, সব ধরনের দানাদার পণ্য, মরিচ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, নিউজপ্রিন্ট পেপার, শিল্প যন্ত্রপাতি, কয়লা, তুলা, রাসায়নিক। সার, কাঠের লগ, ফ্লাই অ্যাশ, সিমেন্টের জন্য ক্লিঙ্কার, মাস্টার্ড, পেট্রোলিয়াম বিটুমিন, কোয়ার্টজ, তাজা এবং শুকনো ফল, বাদাম, চুনাপাথর, পাথর, মার্বেল পাথর, ফিশ ফ্রাই, বীজ, চিনা মাটি, শুকনো মরিচ, গবাদি পশু ইত্যাদি।

সামিট এলায়েন্স পোর্ট টার্মিনালের চিফ অপারেটিং অফিসার মো. আবদুল হাকিম  বলেন, নতুন আদেশের ফলে বেনাপোল এবং অন্যান্য স্থলবন্দরগুলির উপর ভারত থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানি নির্ভরতা এখন অনেকাংশেই কমবে। এতদিন বেসরকারী ইনল্যান্ড টার্মিনালের মাধ্যমে খোলা পণ্য আমদানি-রপ্তানির সুযোগ ছিল না। কেবল কন্টেইনার পণ্য পরিবহনের সুযোগ ছিল।

তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন ও বাণিজ্য সম্পর্কিত প্রোটোকল অনুসারে, ভারত থেকে সরাসরি জাহাজগুলি বাংলাদেশে আসতে পারে, তবে আইনী জটিলতার কারণে বেসরকারী টার্মিনালে সেই জাহাজ ভিড়তে পারছিল না। বর্তমানে নরসিংদী, খানপুরের মাধ্যমে ভারত থেকে সীমিত সংখ্যক পণ্য আসে কারণ কিন্তু সেটি প্রস্তুত নয়। আমদানি-রফতানি পণ্য পরিচালনা করতে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে আমাদের কাছে টার্মিনালে আধুনিক সুবিধাসহ প্রয়োজনীয় সমস্ত সরঞ্জাম রয়েছে।