Work on the country's largest 'Payra' seaport is progressing fast

দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় ‘পায়রা’ সমুদ্র বন্দরের কাজ

প্রকাশিত: ১২:১৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩১, ২০২১
লাইট হাউজ ফাইল ফোটো

নিজস্ব সংবাদদাতা :  নীল সমুদ্রের পাড়ে জ্বলজ্বলে আগামীর স্বপ্ন যেখানে অগ্রগতির ভিত্তি হচ্ছে আরো দৃঢ়।নির্মানাধীন পায়রা সমুদ্রবন্দর যেন খুলে দিচ্ছে সম্ভাবনার নতুন দাড়।

পটুয়াখালীর আন্ধারমানিক নদী পারে এখন ব্যস্ততা ১২১ একর জায়গার উপরে  ৬৫০ মিটার দীর্ঘ জেটি নির্মাণের কাজ। তৈরি হবে মাটির উপরে ২২ মিটার ও নিচে  ৪৮ মিটারের মোট ১,৩৯২ টি স্টিল পাইলিংয়ের পোক্ত পিলার। নদীর ৯০ মিটার ভিতরে থাকবে মূল টার্মিনাল, যেখানে একইসাথে পণ্য খালাসের সুযোগ মিলবে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের  তিনটি জাহাজের।

একটি টার্মিনালে বছরে ১১০ টি জাহাজ ভিড়তে পারবে এবং পাশাপাশি করা যাবে ৮ লাখ টিইউএস কন্টেইনার খালাস। এ ধারণক্ষমতার টার্মিনাল হবে মোট পাঁচটি। আয়তনের দিক থেকে যা হবে চট্টগ্রাম বন্দরেরও তিনগুণ।

দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় ‘পায়রা’ সমুদ্র বন্দরের কাজ

পায়রা বন্দরের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন জানায়, “আমাদের সিডিউল অনুযায়ী আমরা কাজ শুরু করেছি ২০২০ এর জুলাই  থেকে এবং আমাদের কাজ শেষ হবে ডিসেম্বর ২০২২ সনে। এ পর্যন্ত আমাদের অগ্রগতি ১২ শতাংশ  এবং ২০২৩ সাল থেকে বন্দরের জেটিতে জাহাজ ভিড়তে পারবে।”

“আমরা বছরে ৮ লক্ষ টিইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডেল সহ প্রায় ২ লাখ টন কার্গো হ্যান্ডেলও করতে পারব এই টার্মিনালের মাধ্যমে।”

ইতিমধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার শেখ হাসিনা সংযোগ সড়ক সাথে নির্মিত হয়েছে বিশাল প্রশাসনিক ভবনও। সাড়ে ছয় হাজারের মধ্যে ১,২২২ কোটি টাকায় অধিগ্রহণ হয়েছে ৩,৭৮১ একর জমি।

পায়রা বন্দর এর চেয়ারম্যান কমোডর হুমায়ুন কল্লোল বলেন, আমাদের দেশে চট্টগ্রাম বন্দর এবং মংলা বন্দর অনেক আগেই তৈরি করা হয়েছে। আর যেহেতু, এখন তৈরি হচ্ছে আমাদের পায়রা বন্দর একটি আধুনিক বন্দর হিসেবে সুতরাং, আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রয়েছে আরও পাঁচটি টার্মিনাল নির্মাণ করার যা আমরা করতে চাচ্ছি পিপিপি অর্থায়নে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী নদীর প্রবাহ ঠিক রাখতে ক্যাপিটাল ও রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং,কোল্ড টার্মিনাল, কন্টেইনার টার্মিনাল ১ ও ২ সহ ১২ টি সুবিধা নিশ্চিত করবে নৌ মন্ত্রণালয়।

নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন,

দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় ‘পায়রা’ সমুদ্র বন্দরের কাজ ,এ পর্যন্ত পায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। এতে আরো বিনিয়োগ আছে এবং এইসব বিনিয়োগ গুলো আমরা হিসাব করে দেখেছি আমাদের লক্ষ্য মাত্রা ২০৩৫ সালের পরে একটা লাভজনক পর্যায় যাবে।

তিনি বলেন, পায়রা বন্দর যখন পুরোপুরিভাবে তার কার্যক্রম শুরু করবে, তখন এই অঞ্চল সহ বাংলাদেশ এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং সেটা নিশ্চয়ই অর্থনীতি ক্রমবর্ধমান যে বিকাশ তার ওপর প্রভাব ফেলবে।

এখন শুধুই অপেক্ষা সেই ক্ষণের,  যখন প্রত্যাশার ক্যানভাস থেকে দৃশ্যমান হবে দেশের তৃতীয় বৃহৎতম সমুদ্র বন্দর। বঙ্গোপসাগর থেকে ৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ রাবনাবাদ চ্যানেল হয়ে দেশ-বিদেশ থেকে বড় বড় পণ্যবাহী জাহাজ যাওয়া-আসার মাধ্যমে কর্মচাঞ্চল্য শুরু হবে দেশের তৃতীয় এই সমুদ্র বন্দরে।

যার মাধ্যমে শুধু দক্ষিণাঞ্চল নয় অর্থনীতির চাকা আরো সচল হবে পুরো বাংলাদেশেরই। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন এই চ্যানেলটি সারা বছর ধরে ড্রেজিং করে নাব্যতা ধরে রাখাই হবে এই বন্দরের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

আরো পড়ুন..

মোংলা বন্দরে দুই বিদেশি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত;বন্দরে আসতে অনিহা প্রকাশ