Twelve sailors have been rescued after a lighter ship sank in the Bay of Bengal

বঙ্গোপসাগরে লাইটার জাহাজ ডুবির ঘটনায় ১২ জন নাবিক উদ্ধার

প্রকাশিত: ২:২৮ অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০২১
লাইট হাউজ ফাইল ফোটো

মেরিটাইম ডেস্ক :  গভীর বঙ্গোপসাগরে এমবি সান ভেলী নামের লাইটার জাহাজ ডুবির ঘটনায় ১২ জন নাবিক উদ্ধার করেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর রেস্কিউ টিম।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ১১ টার সময় বঙ্গোপসাগরের ভাসানচর উপকূলে এই পাথর বাহী জাহাজটি ডুবে যায় বলে খবর পাওয়া যায়।

জাহাজটি মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পাথর নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। যাত্রাপথে জাহাজটি গভীর বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে এ ঘটনা ঘটে।

উত্তাল সাগরে বিশাল ঢেউয়ের আঘাতে জাহাজের বিভিন্ন অংশ ভেঙে যায় এবং নিয়ন্ত্রণ হারানো জাহাজটি ক্রমশ ডুবতে শুরু করলে নাবিক সদস্যরা প্রাণ বাঁচানোর আকুতি জানায়।

লাইট হাউজ ফাইল ফোটো

এরই মাঝে সময় টেলিভিশনের বরিশাল প্রতিনিধি একটি টেলিফোন পায় এবং অতিসত্বর সময় টেলিভিশন বিষয়টি বাংলাদেশ নৌবাহিনী কে অবহিত করেন।

অতঃপর তৎক্ষণাৎ বাংলাদেশ নৌ বাহিনী বিমান বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করেন এবং বিমান বাহিনীর দুইটি  রেস্কিউ হেলিকপ্টার  ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।

রেস্কিউ টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছার দীর্ঘ ২ ঘন্টা পর ডুবন্ত জাহাজ এবং নাবিকদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

পরবর্তীতে তারা পানিতে ভেসে থাকা অবস্থায় ১২ জন নাবিককে জীবিত উদ্ধার করেন এবং তাদের সকলকে জহিরুল হক ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়।

উদ্ধারকৃত নাবিকদের চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানান বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা।

সাগর উত্তাল থাকায় উদ্ধারের জন্য আশেপাশে কোন জাহাজ বা টলার কিছুই ছিল না।

তাই আরো ভয় পেয়ে যায় জাহাজে থাকা নাবিক সদস্যরা।

বিমান বাহিনী

বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর তারা রুক্ষ সমুদ্রে দুজন রেস্কিউ ডুবুরি নামিয়ে দেন।

পরবর্তীতে  একে একে ১২ জন ক্রু সদস্যকে উদ্ধার করেন।

তিনি  বলেন ওই সময় সাগরে বাতাসের বেগ ছিল ৩০ থেকে ৩৫ নট এবং সাগরের ঢেউ ছিল ৫ মিটারেরও বেশি।

উদ্ধারকৃত নাবিক সদস্যদের  বিমান বাহিনীর চট্টগ্রাম জহিরুল হক ঘাঁটিতে নিয়ে আসা হয়।

লাইট হাউজ ফাইল ফোটো

তার পর প্রথমে তাদের সকলকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা হয়েছিল অ্যাম্বুলেন্স এবং চিকিৎসক।

নাবিক সদস্যরা জানায়, জাহাজ ডুবে যাওয়ার পর দীর্ঘ ১৪ ঘন্টা যাবৎ তারা সাগরে ভেসে বাঁচার জন্য লড়াই করেন। একসময় তারা বাঁচার আশা প্রায় ছেড়েই দেন।

তারা বলেন, ঢেউয়ের আঘাতে জাহাজের হেজের ২টি সেকশন ভেঙে পড়ে যায়।

পরবর্তীতে কার্গো হেজে পানি প্রবেশ করে এবং জাহাজের তলা ফেটে গিয়ে আস্তে আস্তে জাহাজটি ডুবতে শুরু করে।

বর্তমানে উদ্ধারকৃতদের  বিমান বাহিনীর তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।

ঝড় ও রুক্ষ আবহাওয়ায় বঙ্গোপসাগরে লাইটার জাহাজ ডুবির ঘটনায় ১২ জন নাবিক উদ্ধার করা সত্যি একটি অকল্পনীয় এবং বিপদজনক মিশন।

যা সফল ভাবে শেষ করেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর রেস্কিউ টিম।

আরোও পড়ুন…

মোংলা বন্দরে ট্যাঙ্কার জাহাজ অগ্নিকান্ডে ১ নাবিকের মৃত্যু ও আরেকজন গুরুতর অবস্থায়