বাংলাদেশ,ভারতসহ বিভিন্ন দেশের ৫০,০০০ একক কন্টেইনার জমেছে কলম্বো বন্দরে

প্রকাশিত: ৪:০১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২, ২০২০
লাইট হাউজ ফাইল ফোটো

নিজস্ব সংবাদদাতা : শ্রীলংকার কলম্বো সমুদ্রবন্দরে  ‌৫০ হাজার একক পণ্যভর্তি কন্টেইনার জমে আছে। এরমধ্যে বাংলাদেশের রয়েছে বিপুল পণ্যভর্তি কন্টেইনার; আছে ভারতের পণ্যও । এতে দুইদেশের ব্যবসায়ীরা কলম্বো বন্দর ব্যবহার করতে গিয়ে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে। কভিড-১৯ মহামারির কারণে কলম্বো বন্দরের আশপাশে লকডাউন দেয়ায় বন্দরে অন্তত ৩০ শতাংশ শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে; এর প্রভাবে পুরো বন্দরের জাহাজ ভিড়ানো; উঠানামা এবং ডেলিভারিতে পড়েছে। এরফলে কলম্বো বন্দরে একটি ফিডার জাহাজ ভিড়তে বহির্নোঙরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে সাতদিনের বেশি, আর বড় মাদার ভ্যাসেল ভিড়তে সময় লাগছে দুদিন।

কলম্বো বন্দর কর্তৃপক্ষ ধারনা করছে, বন্দরে যে জটিল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরো আট সপ্তাহ লাগতে পারে। ফলে এই বন্দর ব্যবহারকারী বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতি আরো বাড়বে।

শিপার্স একাডেমি অফ কলম্বোর চিফ এক্সিকিউটিভ রোহান মাসাকোরালা বলছেন, বন্দর শ্রমিক সংকটের কারণে কলম্বো বন্দরে উৎপাদনশীলতা প্রায় ৩০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এতে একটি ফিডার জাহাজ ভিড়তে সাতদিনের বেশি লাগছে; মাদার ভ্যাসেল ভিড়তে সময় লাগছে ফলে দুদিনের বেশি। এতে ক্রেনের উৎপাদনশীলতা এবং আন্তঃ টার্মিনাল ট্রাকে পণ্য স্থানান্তরে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলছেন, বন্দরে ৫০ হাজার একক পণ্যভর্তি কন্টেইনার জমে আছে। শিডিউল রক্ষা করতে অনেক ব্যবসায়ীকে পণ্য ইউরোপ-আমেরিকায় উড়োজাহাজে পাঠাতে হয়েছে।  যে বিশাল জট সৃষ্টি হয়েছে সেটি পরিষ্কার করতে ছয়-আট সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।

শ্রীলংকার বন্দর ব্যবহারকারী বাংলাদেশের এক শিপিং লাইনের কর্মকর্তা বলেন, কলম্বো বন্দর যদি সেই দেশের নিজেদের ব্যবহারের জন্য হতো তাহলে উদ্বেগ ছিল না। কিন্তু এই বন্দর ব্যবহারকারী আশপাশের অনেক দেশ। কলম্বো বন্দর মাসে ৬ লাখ একক কন্টেইনার উঠানামা করে থাকে। অবস্থা এতটাই খারাপ একটি জেটিতে এখন ২৩ টি জাহাজ ভিড়ার অপেক্ষায় বসে আছে।