Money laundering under the guise of trade, Chittagong Customs seized 2 containers

বাণিজ্যের আড়ালে অর্থ পাচার,২ কনটেইনার জব্দ করে চট্টগ্রাম কাস্টমস

প্রকাশিত: ১২:৩০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
লাইট হাউজ ফাইল ফটো

নিজস্বসংবাদদাতা : দুটি কনটেইনারে করে ২২টন পণ্য মালেশিয়ায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে জায়গায় ১ টন পণ্য দিয়ে মানি লন্ডারিং করার চেষ্টা করছিল বাংলা ফুড এন্ড বেভারেজ লিমিটেড। খবর পেয়ে নগরীর পতেঙ্গার বেসরকারি ইস্টার্ন লজিস্টিকস ডিপোর দুটি চালানের দুই কনটেইনার খাদ্য পণ্য আটক করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন ও রিসার্চ টিম (এআইআর) শাখা।

কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার মতিঝিলের বাংলা ফুড বেভারেজ নামের প্রতিষ্ঠানের নামে এই চালানটি মালয়েশিয়ায় রপ্তানি হচ্ছিল। এক লাখ তিন হাজার ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মনোনীত সিএন্ডএফ এজেন্ট আর ইসলাম এজেন্সি চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে গত ১৮ ও ২১ ডিসেম্বর বিল অফ এক্সপোর্ট জমা দেয়।

উত্তর পতেঙ্গার ইস্টার্ন লজিস্টিকস ডিপোতে দুইটি পণ্যচালানের বিপরীতে দুইটি ২০ ফুট কনটেইনারে পণ্য বোঝাই করা হয় এবং চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জাহাজে তোলার ডাক আসার অপেক্ষায় ডিপোতে  কনটেইনার দুইটি রাখা হয়। প্রতি কনটেইনারে প্রায় ১১ টন পণ্য থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে তা নেই মর্মে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনারের নিকট গোপন সংবাদ আসে।

এরপর কনটেইনার দুইটি খুঁজে বের করে কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন ও রিসার্চ টিম (এআইআর) এবং জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, সংশ্লিষ্ট ডিপো ও সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে কনটেইনারের সিল কেটে পণ্য পরীক্ষা করেন ঐ শাখার কর্মকর্তারা। কনটেইনারের সামনে সুসজ্জিত মুড়ি, ড্রাই কেক টোস্টের কার্টন সরিয়ে দেখা যায় পেছনে ফাঁকা এবং প্রতি কনটেইনারে প্রায় ১১ টন পণ্য থাকার কথা থাকলেও পাওয়া যায় আধা টন পণ্য।

কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম পূর্বকোণকে জানান, ডিপো কর্তৃপক্ষ ঘোষণা অনুযায়ী পণ্য বুঝে নিলেও কম পণ্য থাকার বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। এক্ষেত্রে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে কালো টাকা পাচার করে রপ্তানির নামে টাকা সাদা করার অপচেষ্টা করা হয়েছে মর্মে সন্দেহ করা হচ্ছে। তা ছাড়া রপ্তানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করতে খাদ্যসামগ্রী রপ্তানির ক্ষেত্রে নগদ প্রণোদনা দেয় বাংলাদেশ সরকার। মানি লন্ডারিং, রপ্তানির আড়ালে কালো টাকা সাদা করা, অবৈধভাবে সরকারি প্রণোদনা গ্রহণের অপচেষ্টাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি খাতকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করেছে এ চোরাচালান চক্র।

তিনি জানান, এ ঘটনায় কাস্টমস আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং দ্রুত অনুসন্ধান শুরু করবে কাস্টম হাউসের এন্টি মানিলন্ডারিং ইউনিট।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর গড়ে ৭৫৩ কোটি ৩৭ লাখ ডলার পাচার হয়। বর্তমান বাজারদরে (৮৫ টাকায় প্রতি ডলার) এর পরিমাণ ৬৪ হাজার কোটি টাকা।