বানৌজা শের-ই-বাংলা প্রকল্প ৩১ শতাংশ অগ্রসর

প্রকাশিত: ১২:১৫ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০২০
লাইট হাউজ ফাইল ফটো

নিজস্বসংবাদদাতা : বানৌজা শের-ই-বাংলা প্রকল্পটির এখন পর্যন্ত  বাস্তব অগ্রগতি ৩১ শতাংশ এবং তার আর্থিক অগ্রগতি ২৩.৫৮ শতাংশ, যার মোট টাকার পরিমাণ ২৫৫ কোটি।

২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুন মেয়াদে এটি বাস্তবায়ন করা হতে যাচ্ছে।প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সম্প্রতি প্রকল্পটির বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য ‘প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটি’র সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

মোট ১ হাজার ৮১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় ধরে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নৌঘাটি বানৌজা শের-ই বাংলা নির্মাণ প্রকল্পের কাজ  বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।২০২০-২১ অর্থবছরে প্রকল্পটির বরাদ্দ রয়েছে ৭০ কোটি টাকা, দুই কিস্তিতে ভাগ হয়েছে ৩৫ কোটি টাকা।

পায়রা সুমদ্রবন্দরসহ গভীর সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় বাণিজ্যিক জাহাজ, ফিশিং ট্রলার ও বোট এবং ব্লু-ইকোনমি সংক্রান্ত অন্যান্য মেরিটাইম প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা প্রদানের জন্য ‘বানৌজা শের-ই-বাংলা পটুয়াখালী স্থাপন’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

এটি বাংলাদেশের তথা সমগ্র এশিয়ার সর্ববৃহত নৌঘাঁটি। বাংলাদেশ নৌবাহিনী পটুয়াখালীর রবনাবাদে এশিয়ার বৃহত্তম নৌ ঘাটিটি নির্মাণ করছে।

এখানে থাকবে সুপার সাবমেরিন ঘাঁটি, থাকবে বিমান ওঠানামার সুবিধা এবং এয়ার স্ট্রিপ, হ্যাঙ্গার এবং রক্ষণাবেক্ষণ ব্লকগুলির জন্য বায়িং সুবিধা সরবরাহ করা হবে। যাতে বঙ্গোপসাগরে সারা বছর নিজেদের ঘন ঘন উপস্থিতি রাখতে পারে।

প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়, অনুমোদিত ডিজাইন/নকশা অনুসারে কাজ শেষ করতে হবে। প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দ করা অর্থের শতভাগ ব্যয় নিশ্চিত করতে হবে।