To protect the maritime market, Bangladeshi sailors are getting priority in getting Covid-19 vaccine

মেরিটাইম বাজার রক্ষায় বাংলাদেশী নাবিকরা কোভিড -১৯ টিকা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার পাচ্ছে

প্রকাশিত: ১২:৪০ অপরাহ্ণ, জুন ২৪, ২০২১
লাইট হাউজ ফাইল ফোটো

মেরিটাইম ডেস্ক :  বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারির কারণে থমকে গেছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। নাবিকদের চলাচলে বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণে প্রভাব পড়ছে বিশ্বব্যাপী মেরিটাইম সেক্টরেও। তাই মেরিটাইম বাজার রক্ষায় বাংলাদেশী নাবিকরা কোভিড -১৯ টিকা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার পাচ্ছে বলে জানায় বাংলাদেশ নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়।

লকডাউনে, অফিস-আদালত বন্ধের পাশাপাশি নানা বিধিনিষেধের মাধ্যমে ভাইরাসটির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চলছে বিশ্বব্যাপী।

তবে এমন পরিস্থিতিতেও স্বাস্থ্যকর্মী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর মতো মেরিনাররাও জীবনবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন কর্মযজ্ঞ।

বিশ্ব অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এশিয়ার চীন থেকে ইউরোপের ইটালি, স্পেন কিংবা আটলান্টিকের ওপারে আমেরিকা মহাদেশ তথা সর্বত্র অত্যাবশকীয় মালামাল (মেডিকেল পণ্য, খাবার, এমনকি করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির রসদও) বহন অব্যাহত রেখেছেন মেরিনাররা।

আর এর মধ্যেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকার তাদের দেশের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোভিড -১৯ টীকার ব্যবস্থা করছে।

গত ১৭ জুন বাংলাদেশ নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সহকারি সিনিয়র সচিব শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়,

করোনাকালীন সময়ে বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্য, নাবিকদের চলাচল বিধিনিষেধ হতে মুক্ত রাখার জন্য জাতিসংঘের উদ্যোগের সাথে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশী নাবিকদের কী ওয়ার্কার বা অত্যাবশ্যকীয় কর্মী ঘোষণা করেছে।

বাংলাদেশ করোনাকালীন সময়ে অনলাইন মেরিটাইম প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা চালু রেখে নাবিকদের সনদ সমূহ বৈধ রাখার ফলে বহির্বিশ্বে চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এক দেশ থেকে আরেক দেশে ভ্রমণের পূর্বশর্ত হিসেবে করোনার টিকার গ্রহণ বাধ্যতামূলক করার সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এবং ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানেশন যৌথ বিবৃতিতে বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য নাবিকদের জাহাজের যোগদান এবং ত্যাগের বিষয়টি সহজ করার জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা ভাইরাসের টিকা প্রদানের অনুরোধ করেছেন।

রিলেটেড নিউজ

হঠাৎ করে থমকে গেছে বাংলাদেশি ১৬ হাজার নাবিকের এর ভবিষ্যৎ

এছাড়াও এই বিষয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স এসোসিয়েশন এবং সীম্যন অ্যাসোসিয়েশনও অনুরূপ অনুরোধ করেছেন।

এমত অবস্থায় মেরিটাইম সেক্টরে বাংলাদেশের শ্রমবাজার ধরে রাখা এবং প্রবৃদ্ধি অর্জনের স্বার্থে বাংলাদেশি নাবিকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা ভাইরাসের টিকা প্রদানের সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন সময় করোনা ভাইরাসের টিকার অগ্রাধিকার তালিকা তৈরি করলেও বাংলাদেশী নাবিকরা এই তালিকার বাইরে ছিল।

সংশ্লিষ্ট সবাই আশা বাদী খুব শীঘ্রই সরকার মেরিটাইম সেক্টরের বৈশ্বিক শ্রমবাজার ধরে রাখার জন্য বাংলাদেশী নাবিকদের দ্রুততার সাথে কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করবে। ‌

আন্তর্জাতিক হিসাবে বাংলাদেশ সরকার অনেকটা ধীরগতিতেই নাবিকদের বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।

তবে, এখন দেখার বিষয় হচ্ছে কবে নাগাদ বাংলাদেশি নাবিকরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোভিড টিকা নিতে পারবে।

মেরিটাইম বাজার রক্ষায় বাংলাদেশী নাবিকরা কোভিড -১৯ টিকা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার পাচ্ছে