Two foreign ships damaged at Mongla port; reluctance to come to port

মোংলা বন্দরে দুই বিদেশি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত;বন্দরে আসতে অনিহা প্রকাশ

প্রকাশিত: ২:২৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২১
লাইট হাউজ ফাইল ফোটো

নিজস্ব সংবাদদাতা :  দেশের মোংলা বন্দর জেটিতে বার্থেড দুইটি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ দুর্ঘটনার শিকার হয় বলে জানা যায়। বন্দরের পশুর চ্যানেলের জেটির সামনে পানির গভীরতা কম থাকায় একটি জাহাজ কাত হয়ে পড়ে। অপরদিকে জেটিতে ফিনডার “যা একধরনের রাবারের বয়া” না থাকায় আঘাত ও ঘষায় আরেকটি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজের ক্যাপেন্ট বন্দর চেয়ারম্যান ও হারবার মাস্টারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

জাহাজ দুইটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট জানায়, ইন্ডিয়ান পতাকাবাহী এমভি তুহিনা  কার্গো জাহাজটি গত ১৮ জানুয়ারি বন্দরের ৭নম্বর জেটিতে ভিড়ে। জেটিতে থাকা অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার ঐ পজিশনে পানির গভীরতা কম হওয়ার কারণে জাহাজটি বাঁধারত দুইটি মুরিংরোপ ছিঁড়ে যায় এবং  জাহাজটি একদিকে কাত হয়ে পড়ে।

জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট আল সাফা শিপিং লাইন্সের খুলনাস্থ ম্যানেজার সাধন কুমার চক্রবর্তী বলেন, বন্দর জেটির সম্মুখভাগে ৭ মিটার গভীরতা রয়েছে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি। কিন্তু জাহাজটি সেখানে ভিড়ার পর দেখা যায় ৪ থেকে সাড়ে ৪ মিটার গভীরতা রয়েছে। যার ফলে ভাটার সময় জাহাজটি কাত হয়ে যায়।

অপরদিকে রুপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের মেশিনারী ইকুইপমেন্ট নিয়ে পর্তুগাল পতাকাবাহী এমভি ইউএইচএল ফোকাস জেনারেল কার্গো জাহাজটি বৃহস্পতিবার ৯নম্বর জেটিতে বার্থিংয়ের সময় জেটির বাহিরের অংশে ফিনডার না থাকায় আঘাত ও ঘষায় জাহাজটির বাহিরের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট অলসিস এর প্রতিনিধি সাখাওয়াত হোসেন মিলন বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমান উল্লেখ করে ঐ জাহাজের ক্যাপ্টেনও বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ (লেটার অফ পোর্টেস্ট) দেয়।

দুর্ঘটনার শিকার হওয়া জাহাজের ক্যাপ্টেনরা জাহাজ মালিকদের ক্ষয়ক্ষতির কথা জানিয়েছেন এবং এই বন্দর ব্যবহারেও অনিহা প্রকাশ করেন তারা।

বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার ফখরউদ্দিন বলেন, এমভি তুহিনা জাহাজের ক্যাপ্টেন অভিযোগ দিয়েছে ভাটার সময়ে তার জাহাজের তলদেশ মাটিতে আটকে যাচ্ছে। কিন্তু গত এক মাসে জেটিতে আরো যে জাহাজগুলো ছিলো তাদের কোনো অভিযোগ ছিলো না। দুই এক দিনের মধ্যে জেটি এলাকায় নতুন করে ড্রেজিংয়ে কাজ শুরু হবে বলেন তিনি।

অপরদিকে জেটিতে ফিনডার না থাকার ব্যাপারে তিনি বলেন, ফিনডার লাগানোর কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে। এর মধ্যে যতগুলো জাহাজ আসবে তারা একটু সাফার করবেই।