20 lakh facke money is being made every day in Jurain of the capital, two crore Taka per month!

রাজধানীর জুরাইনে প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে 20 লক্ষ জাল টাকা, মাসে দুই কোটি টাকা!

প্রকাশিত: ৭:১৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৯, ২০২০
লাইট হাউজ ফাইল ফটো

নিজস্বসংবাদদাতা : ছাপানো হচ্ছে প্রতিদিন ২০ লাখ টাকা এবং প্রতি মাসে অন্তত ২ কোটি জাল টাকা ।গাজীপুরের টাকশালে নয় তৈরি হচ্ছে রাজধানীর পশ্চিম জুরাইনের একটি ভাড়া বাসায় ।যেখানে তৈরি করছে বাংলাদেশী জাল টাকা এবং ভারতীয়  জাল মুদ্রা ।সামনের থার্টিফার্স্ট নাইট কে কেন্দ্র করে সক্রিয় হয়ে উঠেছিল এ বিশাল চক্রটি ।অত্যন্ত নিখুঁতভাবে তৈরি করছে এই জাল নোট, এই নোটের ফিনিশিং এতটাই নিখুঁত যে সাধারণভাবে বুঝার উপায় নেই এগুলো জাল ।এর মাস্টারমাইন্ড জাকির হোসেন যিনি এর আগেও জাল টাকা তৈরীর অপরাধে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এবং রয়েছেে সাতটি মামলা। করোনার সময় জামিনে মুক্তি পেয়ে আরো বড় পরিসরে জাল টাকা ও ভারতীয় রুপি তৈরি করেছিলেন।

জাকির হোসেন তার অপরাধ স্বীকার করে বলেন, ৫০০ টাকার জাল নোট পঞ্চাশ হাজার টাকার এক বান্ডিল বানাতে তাকে দেয়া হয় আসল টাকায় ৬০০০ টাকা,১০০০ টাকার জাল নোটে এক লাখ টাকার বান্ডিলে তাকে দেয়া হয় আসল টাকায় ১০০০০ টাকা, ইন্ডিয়ান জাল রুপি ৫০,০০০ এর এক বান্ডিলে তাকে দেয়া হয় বাংলা টাকায় ৮ হাজার টাকা ।

লাইট হাউজ ফাইল ফটো

জাকিরের ছোট্ট এই বাসায় কোটি কোটি টাকার জাল নোট তৈরি কাঁচামাল পাওয়া যায় এর সাথে পাওয়া যায় জাল নোটের ভিতরে ব্যবহার করার জন্য আসল নোটের ভিতরে থাকা সুতোও ।জাকিরের সহযোগী হিসেবে মাসে ৩০ হাজার টাকা বেতনে জাল টাকার সুতা কাটা ও পেস্টিং এর কাজ করেন ওবায়দুল আর জসিম। আগে জালনোটের ফিনিশিংয়ের মান নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন থাকলেও এখন নোটগুলো আরো মানসম্মত ভাবে তৈরি করে তারা ।

জাকিরের স্ত্রী সহ এই চক্রের নয়জনকে গ্রেপ্তার করেন গোয়েন্দারা,  যারা জালনোট থেকে শুরু করে পুরো বাজারজাত প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত। গোয়েন্দারা বাসায় অভিযান চালিয়ে ৩২ লাখ বাংলাদেশি জাল টাকা ও বিশ লাখ ভারতীয় রুপি জব্দ করেন ।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুব আলম বলেন, জাকির হোসেন এর আগেও ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ।পরবর্তীতে করোনাকালীন সময় জামিনে মুক্তি পেয়ে সে আবারও তার নেটওয়ার্কে পুনরায় সক্রিয় করে আবারও একইভাবে আগের মতই জাল নোট, বিশেষ করে বাংলাদেশি টাকার ১০০০ টাকা, ৫০০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান মুদ্রার ৫০০ রুপির নোট সে প্রস্তুত করেছিল ।গোয়েন্দারা দীর্ঘদিন যাবৎ এই চক্রটির পিছনে কাজ করছিলেন আর এই বারই প্রথম এই চক্রের সবাইকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় বলে যুগ্ম-কমিশনার জানায়।