রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ভাসানচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু

প্রকাশিত: ৩:১৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৪, ২০২০
লাইট হাউজ ফাইল ফোটো

নিজস্ব সংবাদদাতা :  চট্টগ্রাম পতেঙ্গা এলাকার নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের তিনটি ঘাট দিয়ে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। ৭টি জাহাজে মোট ১,৬৪২ জনকে ভাসানচরে পাঠানো হচ্ছে।

নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম কে জেড শামীম বলেন,আজ সকাল ১০:৩০মিঃ নাগাদ চট্টগ্রাম বোট ক্লাব, কোস্টগার্ড ও আরআরবি টার্মিনাল থেকে জাহাজগুলো ছেড়ে যায়।

৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প থেকে ২০টি বাসে করে রোহিঙ্গাদেরকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয় ভাসানচরের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য। বাংলাদেশ নৌবাহিনী রেডি রেসপন্স বাথ জেটি ও বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠে অস্থায়ী ট্রান্সজিট ক্যাম্পে রাতে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয় ।

লাইট হাউজ ফাইল ফোটো

কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির ও এর বাইরে অবস্থান নিয়ে থাকা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে সৃষ্ট সামাজিক সংকটের প্রেক্ষাপটে দুই বছর আগে তাদের একটি অংশকে নোয়াখালীর হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।

সরকারের নিজস্ব ২,৩১২ কোটি টাকা অর্থায়ন ব্যয়ে মোটামুটি ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়।সেখানে প্রায় এক লাখেরও বেশি মানুষ বসবাস করতে পারবে এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা তিন শতাধিক রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধাদর করে আগেই ভাসানচরে নিয়ে রাখা হয়েছিল। এরপর গেল ৫ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দলকে দেখার জন্য ভাসানচরে পাঠানো হয়।

এরইমধ্যে গেল বুধবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের যে পরিকল্পনা বাংলাদেশ সরকার নিয়েছে, তার সঙ্গে জাতিসংঘের কোনও ধরনের সম্পৃক্ততা নেই।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সেনা নিপীড়ন, গণধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াও ও গণহত্যার মুখে নতুন করে ৭ থেকে ৮ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত ও সাগর পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে আশ্রয় নেয়। এরপর বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে দফায় দফায় প্রতিশ্রুতি দিয়ে এবং আন্তর্জাতিক চাপের মুখেও নিজেদের নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিচ্ছে না মিয়ানমার।