Tanker explosion at Jeddah seaport in the Red Sea

লোহিত সাগরে জেদ্দা সমুদ্র বন্দরে ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণ

প্রকাশিত: ৬:১৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
লাইট হাউজ ফাইল ফটো

মেরিটাইম ডেস্ক : লোহিত সাগরে সৌদি আরবের জেদ্দা সমুদ্র বন্দরে ‘সোমবার ভোরে বহিরাগত একটি “বিস্ফোরকবাহী” নৌকার আঘাতে সিঙ্গাপুর পতাকাবাহী ট্যাঙ্কার বিডাব্লু রাইন জাহাজে বিস্ফোরণ হয় এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আনুষ্ঠানিকভাবে সৌদি প্রেস এজেন্সি জানায়, জ্বালানি মন্ত্রনালয়ের এক মুখপাত্র এসপিএ বলেন, বিস্ফোরণে কোন হতাহত বা জ্বালানী তেল সরবরাহে কোনও বাধা নেই।

ধারণা করা হচ্ছে, সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের সঙ্গে যুদ্ধরত ইয়েমেনি বিদ্রোহীরাই ট্যাঙ্কারটিতে হামলা চালিয়েছে। তবে কোনও দল বা গোষ্ঠী এখনও এর দায় স্বীকার করেনি।

সোমবার এক বিবৃতিতে  জাহাজের মালিক হাফনিয়া জানায়, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১২ টা নাগাদ জেদ্দায ছাড়ার সময় ট্যাঙ্কার বিডাব্লু রাইনকে আঘাত করা হয়েছিল এবং তাত্ক্ষণিকভাবে জাহাজটি জ্বালানী স্থানান্তর বন্ধ করে দেয়।জাহাজে অবস্থারত ২২ জন নাবিক সদস্যেরা কোন আঘাত পায়নি এবং নাবিকরা  দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেললেও ট্যাঙ্কারের বেশ কিছু যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিবৃতিতে হাফনিয়া জানিয়েছে, বিস্ফোরণের কারণে ট্যাঙ্কার থেকে কিছুটা তেল বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেটি এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। কারণ, পরিমাপ যান্ত্রে তেলের স্তর আগের মতোই দেখাচ্ছে।

ব্লুমবার্গের সংকলিত শিপ ট্র্যাকিংয়ের তথ্য অনুসারে, আরামকো ট্রেডিং ইউনিট জাহাজটি চার্টার্ড করেছিল, যা 8 ই ডিসেম্বর সৌদি বন্দর ইয়ানবু থেকে পেট্রোল লোড করে জেদ্দা আসে। সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর জেদ্দা. ইয়েমেনী সীমান্ত থেকে প্রায় ৩৭০ নটিক্যাল মাইল (৫৯৫ কিলোমিটার) দূরে।

সোমবারের এ বিস্ফোরণের কারণে তেলের বাজারে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রায় বছরখানেক করোনাভাইরাস মহামারির আঘাত সহ্য করার পর মাত্রই ভ্যাকসিনের সূত্র ধরে প্রাণ ফিরতে শুরু করেছে বিশ্ব অর্থনীতিতে।

ব্রিটিশ নৌবাহিনীর অধীনস্থ সংস্থা মেরিন ট্রেড অপারেশনস সব সামুদ্রিক জাহাজকে বাড়তি সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে। সৌদির বন্দরে বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্ত হবে বলেও জানিয়েছে তারা।

এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বিবৃতি দেয়নি সৌদি কর্তৃপক্ষ। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির বিভিন্ন তেল স্থাপনায় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার একাধিক ঘটনা লক্ষ্য করা গেছে।

গত ২৫ নভেম্বর সৌদি আরবের শুকাইক বন্দরে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় একটি গ্রিক ট্যাঙ্কার। এ ঘটনার জন্য ইয়েমেনি হুথি বিদ্রোহীদের দায়ী করেছিল সৌদি। যদিও হুথিরা এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

তবে গত ২৩ নভেম্বর জেদ্দায় সৌদির আরামকো তেল কোম্পানির একটি স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দায় স্বীকার করেছিল ইয়েমেনি বিদ্রোহীরা।