সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে কাঁঠালবাড়ি ঘাট,শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে

প্রকাশিত: ৫:৩৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০২০
লাইট হাউজ ফাইল ফোটো

নিজস্ব সংবাদদাতা : পদ্মা সেতুর কাজের জন্য সরিয়ে নেওয়া হয়েছে শিমুলিয়া-কাঁঠলবাড়ি নৌরুটের কাঁঠালবাড়ি ফেরি ঘাট। আজ সোমবার (১৬ নভেম্বর) থেকে ফেরি চলবে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে।

মূলত নদী শাসন কাজের জন্য কাঁঠালবাড়ি ঘাট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বর্তমান কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাট থেকে পশ্চিম দিকে আরো ৩০০ মিটার উজানে বাংলাবাজারে এই ফেরি ঘাটটিকে স্থানান্তর করা হয়েছে। স্থানান্তর শেষে এই ফেরিঘাটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ফেরিঘাট’।

রোরো ও ডাম্পসহ সব ধরনের ফেরি চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে এ ঘাট দিয়ে।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (নদী শাসন) মো. শারফুল ইসলাম জানান, বাংলাবাজার এলাকাকে ফেরিঘাট হিসেবে ব্যবহার করার উপযোগী সব কিছুই করা হয়েছে। এছাড়া আগের ফেরিঘাটের উল্টো দিকে নদী শাসনের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়। চরজানাজাতসহ আশপাশের প্রায় ২২৬ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। সেখানেও ড্রেজিং করা হয়েছে। কারণ এখানে নদী শাসনের সময় আবার ফেরি চলাচলের জন্য চওড়া করতে হয়েছে।

শারফুল ইসলাম আরো জানান, পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের ল্যান্ডিং পয়েন্ট থেকে দুই কিলোমিটার ভাটিতে নাওডোবা এলাকায়ও নদী শাসনের ড্রেজিং করা হয়েছে। জাজিরা ল্যান্ডিং পয়েন্টে বালুর বস্তা ও অন্যান্য উপকরণ ফেলা হয়েছে।

এর আগে ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কাঁঠালবাড়িতে সরিয়ে আনা হয়েছিল কাওড়াকান্দি ঘাট। তখন মাদারীপুর জেলার শিবরচরের এ ঘাটের নামকরণ করা হয় ইলিয়াস আহমেদ ঘাট। এখনো ওই নামই থাকবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) ব্যবস্থাপক (মেরিন) আহাম্মদ আলী  জানান, এরইমধ্যে দুটি ঘাট সরিয়ে আনা হয়েছে বাংলাবাজারে। কয়েক দিনের মধ্যে বাকি দুটি ঘাটসহ লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটও সরিয়ে আনা হবে। তিন বছর পর এই ঘাট স্থানান্তেরর কারণে দূরত্ব বাড়ল আধা কিলোমিটার। বর্তমানে বিকল্প চ্যানেল ফেরির দূরত্ব ছিল সাড়ে ১২ কিলোমিটার। আর বাংলাবাজার-শিমুলিয়া ঘাটের দূরত্ব হচ্ছে ১৩ কিলোমিটার।