সাগরে মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ নৌ পুলিশের অগ্রণী ভূমিকা লাইটহাউজ নিউজ ক্লাব লাইটহাউজ নিউজ ক্লাব প্রকাশিত: ৩:২৪ পূর্বাহ্ণ, মে ২৭, ২০২০ নিজস্ব সংবাদদাতা- সরকার ঘোষিত সমুদ্রে ৬৫ দিন যে কোন ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধের আদেশ বাস্তবায়নে তৎপড়তা শুরু করেছে নৌপুলিশ। নৌপুলিশ ৫টি বিশেষ লঞ্চযোগে সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধে নিয়মিত টহল দিচ্ছে। আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত সমুদ্রের মৎস সম্পদ রক্ষায় নৌপুলিশের এ কার্যকম চালানো হবে নিয়মিত। নৌপুলিশের ১৯টি স্টেশন সমুদ্র, নদী এবং মৎসঘাটগুলোতে নজরদারী বাড়িয়েছে। এ বিষয়ে মৎস শিকারি জেলে সমিতির নেতা এবং ট্রলার মালিক সর্বোপরি দাদনদারদের সঙ্গে বৈঠক করেছে নৌপুলিশ।নৌপুলিশের ডিআইডি মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ যদি সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধে নৌপুলিশের পোশাকধারী টিমের পাশাপাশি গোয়েন্দা টিমগুলোও কাজ করছে। ট্রলারগুলো যাতে সমুদ্রে যেতে না পারে এ জন্য সতর্ক অবস্থান নেয়া হয়েছে।নৌপুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরিদা পারভীন জানান, সরকার বঙ্গোপসাগড়ে গত ২০ মে থেকে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন যেকোন ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। মূলত সমুদ্রে মৎস সম্পদ বাড়াতে এবং ছোট ছোট মাছ বড় হওয়া এবং মা মাছের ডিম পাড়ার সুবিধার্থে সরকারে মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু কিছু অসাধু মৎস ব্যবসায়ী জেলেদের নানা প্রলোভনে ফেলে ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে মাছ শিকারে বাধ্য করাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে অবাধে সব ধরনের মাছ শিকারের ফলে সমুদ্রে মৎস সম্পদ কমে আসতে শুরু করেছে।তিনি আরও জানান, এ বছর সরকারের আদেশ বাস্তবায়নে কাজ করবে নৌপুলিশ। ইতোমধ্যে নির্ধারিত সমুদ্র এলাকায় নিয়মিত টহলের জন্য ৫টি জাহাজ (বড় লঞ্চ) নিযুক্ত করা হয়েছে। এসব লঞ্চ ছাড়াও ট্রলার ও স্প্রিডবোর্ডে করে নৌপুলিশের সদস্যরা সমুদ্রে টহর দিবে। নৌপুলিশের ১৯টি স্টেশন সমুদ্র এলাকা ও সমুদ্রবর্তী নদীতে অবস্থান নিয়েছে। নৌপুলিশের পক্ষ থেকে সমুদ্রে মৎস শিকার করা ট্রলারের এবং জেলেদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। কোন ট্রলারের মালিক কে তাও সংগ্রহ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ট্রলার মালিক ও জেলেদের সতর্ক করা হয়েছে। বরফকলগুলোতেও নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। SHARES মেরিটাইম ফিশারিজ বিষয়: