সীতাকুন্ড পর্যন্ত লাইটার জেটি তৈরির সিদ্ধান্ত চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের,বেসরকারী উদ্যোক্তাদের আহ্বান

প্রকাশিত: ৪:৫৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০২০
লাইট হাউজ ফাইল ফোটো

নিজস্ব সংবাদদাতা : জলসীমা বাড়ায় পতেঙ্গা থেকে সীতাকুন্ড পর্যন্ত সাগরতীর ঘেঁষে লাইটার জেটি তৈরি করতে চায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। সাগর তীরে এই দীর্ঘ এলাকাজুড়ে বিভিন্নস্থানে লাইটার জেটি বানাতে বেসরকারী উদ্যোক্তাদের আহবান জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। মুলত বহির্নোঙরে আসা বড় জাহাজ থেকে পণ্য ছোট জাহাজে নামিয়ে নদীপথে সাশ্রয়ে পণ্য পরিবহন বাড়াতেই এই উদ্যোগ।

চট্টগ্রামের উন্নয়ন, শিল্পায়ন ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম চেম্বার দেশের একমাত্র ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে এক আলোচনা সভা আয়োজন করে। সেখানে আলোচনায় অংশ নিয়ে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন চট্টগ্রাম বন্দর সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) জাফর আলম।

তিনি বলেন, নদীপথে পণ্য পরিবহন অনেক সাশ্রয়ী কিন্তু অবকাঠামো গড়ে না উঠায় সেই রুট জনপ্রিয়তা পায়নি। এখন আমরা সেদিকে নজর দিচ্ছি। বন্দর জলসীমা বাড়ানোর পর আমরা সীতাকুন্ড পর্যন্ত সাগরতীরে লাইটার বা ছোট জেটি বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বেসরকারী উদ্যোক্তাদের আমরা এতে সম্পৃক্ত করবো।

লাইট হাউজ ফাইল ফোটো

তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে না জানালে মৌখিকভাবে বিভিন্ন আলোচনায় আমরা এই আহবান জানাচ্ছি। এতে নিজেদের পণ্য নিজেরাই পরিবহন করতে পারবে। চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর চাপ কমবে; এমনকি মুল শহর থেকে বাইরে এসব জেটি স্থাপিত হলে শহরের যানজটের চাপটাও অনেক কমে যাবে।

বন্দরের এক কর্মকর্তা বলছেন, অনেক আগে দেশের শীর্ষ শিল্পগ্রুপ বিএসআরএম সাগরতীরে লাইটার জেটি নির্মানের আগ্রহ আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছিল কিন্তু তখন সেটি বন্দরের জলসীমার মধ্যে ছিল না। বিআইডব্লিউটিএ’র আওতায় ছিল।  এখন সেই স্থান চট্টগ্রাম বন্দর জলসীমায় চলে আসায় আমরা খুব সহজেই অনুমতি দিতে পারবো। সীতাকুন্ডে জেটি করলে বিএসআরএম নিজেদের পণ্য দ্রুত জাহাজ থেকে নামিয়ে কারখানায় পৌঁছাতে পারবে। এটা তাদের জন্য বড় সুযোগ। শুধু তাই নয়; সীতাকুন্ড এবং আশপাশের বড় শিল্প কারখানাগুলো চাইলে এমন সুযোগ নিতে পারে।