লাইটহাউজ নিউজ ডেক্স: দেশ বরেণ্য রাজনীতিবিদ, সাবেক আইনমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল মতিন খসরুর মারা যাবার পর, কুমিল্লা ৫ আসনের উপনির্বাচন কে কেন্দ্র করে বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার রাজনৈতির মাঠে শিক্ষিত যোগ্য এবং বলিষ্ঠ দুই একজন প্রার্থীর মধ্যে মেরিন ক্যাপ্টেন জিয়াউল হাসান মাহমুদ অন্যতম।
এই মেধাবী মানুষটি বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়ার রাজনীতির মাঠে দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল রাজনীতি করে আসছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জিয়াউল হাসান মাহমুদের পরিবারের রয়েছে বিশাল অবদান।
তিনি তাঁর দীর্ঘ জীবনে শিক্ষা এবং সামাজিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে আসছেন।
জননেতা আব্দুল মতিন খসরুর অবর্তমানে নৌকার দুর্গ হিসেবে পরিচিত বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার ৫ আসনে জিয়াউল হাছান মাহমুদের প্রার্থী সময়ের দাবী মাত্র।
মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা এড আমির হোসেন এমপি সাহেবের ইতিহাস সম্পর্কে বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়াবাসি অবশ্যই অবগত আছেন।
সাবেক মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আমির হোসেন এমপি মহোদয়ের সুযোগ্য সন্তান ব্রাহ্মণপাড়া বুড়িচং বাসীর গর্ব মেরিন ক্যাপ্টেন জিয়াউল মাহমুদ একজন শিক্ষা অনুরাগী , বলিষ্ঠ প্রতিবাদী কন্ঠস্বর, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং আদর্শ নেতৃত্বের গুণাবলী সমৃদ্ধ।
সবার জানামতে তিনি এক ব্যক্তি তিনি উনার ব্যবসা-বাণিজ্য কর্মস্থল সবকিছুই ছেড়ে দিয়ে প্রায় সময়ই নাড়ির টানে পিতার প্রতিষ্ঠিত সেই বিদ্যাপীঠ “আমির হোসেন জোবেদা ডিগ্রী কলেজে” এবং নিজ এলাকায় ছুটে আসেন।
তিনি কলেজের শিক্ষার্থীদের সার্বিক পড়াশোনার মান উন্নয়নের খোঁজখবর নিয়ে থাকেন, গরীব শিক্ষার্থীদের পাশে সব সময় সর্বদা নিবেদিত প্রাণ এবং এলাকার ছোট বড় সব সমস্যার সমাধানের জন্য সাধ্যমত সর্বদা সচেষ্ট থাকেন।
মেরিন ক্যাপ্টেন জিয়াউল হাসান মাহমুদ বাংলাদেশের শিপিং ইন্ডাস্ট্রিতে তার রয়েছে অনন্য অবদান।
তিনি বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু মেরিনার্স পরিষদের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
জিয়াউল হাসান মাহমুদের পিতা মরহুম আমির হোসেন এমপি মহোদয় বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন।
১৯৫৭তে মেজর গনি স্যার মারা যাবার পর ঐ আসনে এডভোকেট আমির হোসেন এমপি মহোদয় কে নমিনেশন দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু।
ঐ নির্বাচন উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বুড়িচং- ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় থেকে ১০দিন প্রচারনা করেছিলেন।
জাতি তা ভুলে যায়নি বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার দুঃসময়ের হাল ধরেছিলেন মেরিন ক্যাপ্টেন জিয়াউল হাসান মাহমুদের পিতা ইতিহাস ই তার সাক্ষী দেয়।
লাইটহাউস ক্লাবের একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন “নেতা হওয়ার যোগ্যতা বলতে সাধারণ ভাবে বোঝায়, একজন মানুষের নিজের দর্শনকে অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া এবং তাদের দিয়ে স্বেচ্ছায় কাজ করিয়ে নেয়ার গুন” তিনি, বলেন আমার পিতা নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম এডভোকেট আমীর হোসেন -এমপি সাহেব।
তিনি একজন ভাষা সৈনিক এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক।
১৯৬২ সালের ৩১শে জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভারতের আগরতলায় নিয়ে যান।
আমীর হোসেন জোবেদা ডিগ্ৰী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা এবং বুড়িচং- ব্রাক্ষণপাড়ার তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় নেপথ্যে মূখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন।
তৎকালীন বুড়িচং থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। উনি কুমিল্লা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন।
তিনি দীর্ঘ সময় সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ছিলেন। আমার বাবা কুমিল্লা আইনজীবী বারের সভাপতি ছিলেন এবং ছিলেন সেন্ট্রাল বারের মেম্বার।
আমার মাতা মরহুম আর কিউ কানিজে জোবেদা ছিলেন নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক।
ব্রাক্ষণপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। পাশাপাশি তিনি রোটারিয়ান এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও ক্যাডেট কলেজ ক্লাব, স্বাধীনতা মেরিনার্স ফোরাম, বঙ্গবন্ধু নৌ পরিষদ এবং নিরাপদ চালক চাই সংগঠনের সক্রিয় সদস্য।
তিনি নবাব ফয়জুন্নেসা ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য। এছাড়াও আমি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড – ব্রাক্ষণপাড়া, ব্রাক্ষণপাড়া ষ্টুডেন্ট এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ শিক্ষা সেবা ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা।
আমি আমীর হোসেন জোবদা ডিগ্ৰী কলেজ, শিদলাই এর দাতা সদস্য এবং শিদলাই খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ) দাখিল মহিলা মাদ্রাসার সভাপতি।
মুজিব আদর্শের ভিত্তিতে পারিবারিক ও সামাজিক অঙ্গনে গড়ে উঠা আমি রাজনীতির অঙ্গনের সৎ ও স্পষ্টভাষী নেতা হিসাবে পরিচিত।
উল্লেখ্য, আমার দাদা মরহুম জিয়াউদ্দিন সরকার তৎকালীন খেলাফত আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন।
আমার চাচা মরহুম মকবুল হোসেন দীর্ঘদিন ঢাকা সিটি করপোরেশন কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
আমার চাচাতো ভাই মরহুম আব্দুল আউয়াল শিদলাই ইউনিয়ন পরিষদের একজন স্বনামধন্য চেয়ারম্যান ছিলেন।
উনার ছেলে মাসুম সরকার ও পরবর্তীতে শিদলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তাই, আমরা বংশপরম্পরায় সক্রিয়ভাবে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম এবং আছি।
আমার স্ত্রী মিসেস সাবিনা আফরোজ লক্ষীপুরের সম্ভ্রান্ত মীর বংশের সন্তান।উনি গ্ৰাজুয়েট এবং ইন্টিরিয়র ডিজাইনার উপর ডিপ্লোমাধারী।
আমার তিন বোনই শিক্ষিত এবং এর মধ্যে দুই ডাক্তার (এমবিএস এবং বিডিএস ডিগ্ৰীধারী)।
আমি যেন আমাদের দুই উপজেলাবাসীর অভিভাবক হয়ে আমাদের সাংবিধানিক অধিকার এবং ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারি – সেক্ষেত্রে আমার প্রতি আপনাদের সকলের আকুন্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
আমার কিছু পরিকল্পনা আছে প্রিয় বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়াকে নিয়ে।
সর্বপ্রথম হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন ও যানজটমুক্ত করা।
দ্বিতীয়ত হচ্ছে- ইউনিয়ন ভিত্তিক ক্লাব করে মাদক সম্রাট ও মাদকসেবীদের চিন্হিত করা এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় তাদের নির্মূল করা।