স্বভাবতই এই কাজে নিয়োজিত নাবিক গন সরাসরি সম্মুখ সারীতে থেকে ঝুকিপূর্ণ কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে চলেছে।
নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির সাথে।বিশ্ববানিজ্য সচল রাখার স্বার্থে নিজে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নিয়েছে, বিভিন্ন দেশের নানারকম কড়া নিয়ম মেনে নিয়েছে, পন্য পরিবহনের কাজে অন্যের সংস্পর্শে গিয়েছে, গুরুত্বপূর্ন সময়ে পরিবারের পাশে থাকার কথা ভুলে গিয়েছে,যাতায়তের বিধিনিষেধের কারণে কন্ট্রাক্ট শেষ হওয়ার পর ও দীর্ঘদিন সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে, নিজেদের একটু বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম শোর লিভ সুবিধার কথাও ভুলে গিয়েছে।
অত্যন্ত দূঃখের বিষয় নাবিকদের এই আত্মত্যাগ বরাবরই পর্দার আড়ালে রয়ে গিয়েছে।
নাবিকদের কী-ওয়ার্কার স্বীকৃতি প্রদান করে জাহাজ থেকে অব্যাহতি এবং যোগদান কার্যক্রম কে সহজ করার জন্য আই,এম,ও থেকে বারবার অনুরোধ করা হলে ও বিভিন্ন দেশ এতে কর্ণপাত করেনি।এখনো বিভিন্নভাবে হয়রানি হতে হচ্ছে নাবিকদের।
পরিতাপের বিষয়,আমাদের দেশে ও কোভিড-১৯ পরিস্থিতি তে নাবিকদের সুবিধার্তে চোখে পড়ার মতো তেমন কোনো উদ্যোগ এখনো পর্যন্ত গৃহিত হয়নি।
যেটা পরিলক্ষিত হয়েছে কোভিড-১৯ টীকা প্রাপ্তির লিস্টে, যেখানে নাবিকদের জন্য কোনো টীকা বরাদ্দ করা হয়নি।
এছাড়া, বিভিন্ন সময়ে নাবিকেরা জাহাজে যোগদান বা অব্যাহতির ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হয়েছে এবং এই বিষয়ে চলাচল নিষেধাজ্ঞার সময়ে নাবিকদের কী-ওয়ার্কার উল্লেখ করে আওতা মুক্ত রাখার জন্য কেনো পদক্ষেপও গ্রহন করা হয়নি।এবছর সী-ফ্যায়ারার্স ডে এর প্রতিপাদ্য বিষয় হলো নাবিকদের সুষ্ঠু ভবিষ্যৎ।
নাবিকদের সুষ্ঠু ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা এবং বিশ্ব বানিজ্য সচল রাখার লক্ষ্যে আমি আশা করবো বাংলাদেশ সহ প্রতিটি দেশ যেনো নাবিকদের কী-ওয়ার্কার স্বীকৃতি প্রদান পূর্বক নাবিকদের জন্য কোভিড-১৯ টীকার ব্যবস্থা গ্রহন করে এবং নাবিকদের জাহাজে যোগদান এবং অব্যাহতি কার্যক্রম কে সহজ করার লক্ষ্যে নাবিকদের আন্তর্জাতিক ভাবে সকল প্রকার চলাচল নিষেধাজ্ঞার আওতা মুক্ত রাখে।
নিশ্চিত হোক নাবিকদের সুষ্ঠু ভবিষ্যৎ এবং সচল থাকুক বিশ্ববাণিজ্য।
View Comments