কিম ও পুতিনের চিঠি আদান-প্রদান, সম্পর্কোন্নয়নে মনোনিবেশ

প্রকাশিত: ১২:১৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৬, ২০২৩

বিশ্বের অন্যতম বিচ্ছিন্ন দেশ উত্তর কোরিয়া। অন্যদিকে, গত বছর ইউক্রেনে হামলার পর পশ্চিমাদের বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার কারণে চাপে পড়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। এমন পরিস্থিতিতে এখন সম্পর্কোন্নয়নে মনোনিবেশ করেছে পরমাণু শক্তিধর এই দুই দেশ।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) চিঠি বিনিময় করেছেন।পিয়ংইয়ংয়ের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, কিম ‘দীর্ঘদিনের কৌশলগত সম্পর্ক’ বলে তাদের সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া সফর করেছেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু। এর কয়েক দিনের মাথায় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে চিঠি লিখলেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন।

১৯৪৫ সালে জাপানের ঔপনিবেশিক শাসন (১৯১০-১৯৪৫) থেকে স্বাধীনতা লাভ করে উত্তর কোরিয়া। স্বাধীনতার ৭৮ বছর উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার পুতিনকে চিঠিটি লেখেন কিম। এতে তিনি লিখেছেন, ‘দুই দেশের বন্ধুত্ব শক্তিশালী হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের ওপর বিজয়ের মাধ্যমে আর এই বন্ধুত্ব এখন পূর্ণভাবে তার অজেয়তা এবং শক্তি প্রদর্শন করছে সাম্রাজ্যবাদীদের গুঁড়িয়ে দেওয়ার লড়াইয়ে।’

চিঠিতে কিম আরও লিখেছেন, ‘আমি শক্তিশালীভাবে বিশ্বাস করি এই বন্ধুত্ব এবং সংহতি একটি দার্ঘস্থায়ী নতুন চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলায় একটি কৌশলগত সম্পর্কে পরিণত হবে। দুই দেশ সব সময় বিজয়ী হবে এবং একে অপরকে লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।’

ফিরতি চিঠিতে পুতিন কিমের কাছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার অঙ্গীকার করে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে আমরা দুই দেশের জনগণের মঙ্গল এবং কোরীয় উপদ্বীপ ও সমগ্র উত্তর-পূর্ব এশিয়ার দৃঢ় স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তার জন্য সকল ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করব।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, উত্তর কোরিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে। পিয়ংইয়ং এবং মস্কো কোনো অস্ত্র লেনদেনের কথা অস্বীকার করেছে।