গিনির উপসাগরে জলদস্যুর উপদ্রব ও কিডন্যাপিং আরো ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি।

প্রকাশিত: ১১:১৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০২০

নিজস্ব সংবাদদাতা: এই বছরের প্রথম নয় মাসে গিনি উপসাগরে কিডন্যাপিংস ৪০% বেড়েছে, এবং আন্তর্জাতিক মেরিটাইম ব্যুরো (আইএমবি) বুধবার বলেন,পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলবর্তী অঞ্চলটি এখন বৈশ্বিক সামুদ্রিক অপহরণের ৯৫% হিসাবে রয়েছে।

আইএমবি বলেন,গিনির উপসাগর থেকে জলদস্যুরা ৮০ জন নাবিককে অপহরন করে নিয়ে গিয়েছিল,যা ১২টির ও বেশি দেশের সীমান্ত ২.৩ মিলিয়ন বর্গ কিমিঃ (৮৮৮,০০০ বর্গ মিটার) অঞ্চল ঘিরে। যা ২০১৯ সাল সময়কালের চেয়ে তীব্রভাবে বেড়ে উঠছে এবং জলদস্যুরা পূর্বের চেয়ে সমুদ্রের দিকে আরও বিশি মাএায় আক্রমণ চালাচ্ছে।

বন্দুক এবং ছুরি দিয়ে সজ্জিত জলদস্যুরা তেল প্ল্যাটফর্ম থেকে শুরু করে মাছধরা জাহাজ এবং রেফ্রিজারেটেড কার্গো জাহাজ পর্যন্ত সমস্ত কিছু আক্রমণ করে।উপকূল থেকে ৯৫ নটিক্যাল মাইল দূরে একটি আক্রমণ হয়,যা ঐ অঞ্চলের সমুদ্রে সৈকতের সবচেয়ে দূরের হামলা বলে খবর পাওয়া যায়, জলদস্যুরা ১৩ জন নাবিককে জিম্মি করে নিয়েছিল,এ প্রসঙ্গে আইএমবি বলেন,যে জলদস্যুরা কতটা সুসংহত ও সুদূরপ্রসারী হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, আক্রমণকারীদের বেশিরভাগই আফ্রিকার বৃহত্তম তেল রফতানিকারক দেশ থেকে পেট্রোলিয়াম উৎপাদক নাইজেরিয়ার নাইজার ডেল্টা থেকে আসে, তবে স্থানীয়দের জন্য অঞ্চলটিতে অনুন্নত অর্থনীতি এবং সীমিত চাকরি কারনে এই সমস্যা প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না।

২০১৯ সালে, নাইজেরিয়া জলদস্যুতার বিরুদ্ধে একটি স্বতন্ত্র আইন কার্যকর করে এবং আগস্টে, পোর্ট হারকোর্টের তেল কেন্দ্রের একটি আদালত আইনটির অধীনে প্রথম দোষী সাব্যস্ত করে।