আজ থেকে দেড়মাস বন্ধ থাকবে দেশের সব কোচিং সেন্টার

প্রকাশিত: ১০:১৫ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৪, ২০২৩

দেশের আট শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১৭ আগস্ট। চলতি বছরের এ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস ও প্রশ্নফাঁসের গুজব ঠেকাতে প্রায় দেড়মাস দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

নির্দেশনা অনুযায়ী, আজ (১৪ আগস্ট) থেকে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে সব ধরনের কোচিং সেন্টার পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।

গত ৮ আগস্ট এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, প্রশ্নফাঁসের গুজব ও নকলমুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু, সুন্দরভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আগামী ১৪ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাউশি, সব শিক্ষা বোর্ড, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা পর্যায়ে সব প্রশাসনিক পদে দায়িত্বরতদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ কোচিং খোলা রাখলে অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানাসহ সিলগালা করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

এ বছর দেশের ৯টি সাধারণ এবং মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে মোট ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবেন। গত বছর (২০২২ সাল) পরীক্ষার্থী ছিল ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন। সেই হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে এক লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ জন।

বন্যার কারণে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে চট্টগ্রাম এবং মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা ২৭ আগস্ট থেকে শুরু হবে। যে চার বিষয়ের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেসব পরীক্ষার তারিখ পুনর্নির্ধারণ করে নতুন সময়সূচিও প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড।

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার সূচি গত ৮ জুন প্রকাশ করে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের সই করা সূচিতে জানানো হয়, পরীক্ষা শুরুর অন্তত ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে বহু নির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। উভয় অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।

এতে বলা হয়, পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না। কোনো পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে পারবে না। পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।