ইরানের বন্দর আব্বাস এ মানবেতর জীবনযাপন করছে বাংলাদেশী ৮ নাবিক লাইটহাউজ নিউজ ক্লাব লাইটহাউজ নিউজ ক্লাব প্রকাশিত: ৩:৩২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০২০ লাইট হাউজ ফাইল ফোটো নিজস্ব সংবাদদাতা : করোনাভাইরাস এর মত মহামারীতে পৃথিবী যখন থমকে গিয়েছিলো, সে সময় পৃথিবীর অর্থনীতিকে সচল রাখার জন্য, সকল ধরনের বাধা-বিপত্তি তুচ্ছ করে নাবিকেরা জাহাজ নিয়ে গিয়েছে পৃথিবীর এক দেশ থেকে অন্য দেশে। পৃথিবীর অর্থনীতিকে সচল রাখার জন্য বাংলাদেশের প্রায় বিশ , পঁচিশ হাজার নাবিক নিজেদেরকে আত্মনিয়োগ করেছে সমুদ্র পেশায়। পৃথিবীর সমস্ত নাবিকেরা পেয়েছে key worker খেতাব। কি ওয়ার্কার খেতাবপ্রাপ্ত বাংলাদেশি ৮ নাবিক আজ মানবেতর জীবন-যাপন পার করছে। বাংলাদেশের মেরিন কমিউনিটিতে হতাশা বিরাজ করছে। ইরানের বন্দর আব্বাসে এমভি আইজদিহার জাহাজে আটকে থাকা অসহায় বাংলাদেশী নাবিকদের পূর্ন বকেয়া বেতন সহ দেশে ফিরিয়ে আনর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মন্ত্রী পরিষদের নিকট আবেদন করেন অত্র জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ার এর স্ত্রী মরিয়ম কল্পনা।তিনি নিজে ভূক্তভোগী এবং সকল বাঙ্গালি নাবিকদের ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে এ আবেদনটি করেন।এই বিষয়টি নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অরগানাইজেশন (আইএমও) তে চিঠি প্রেরন করা হয়। তার স্বামী চীফ ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহমান সহ আরো ৭ জন বাংলাদেশী নাবিক বর্তমানে এম.ভি আইজদিহার জাহাজে কর্মরত আছেন বলে জানায়। ক্যাপ্টেন ফাইজুর রহমান (পেশা- মেরিনার)নামে লন্ডনে অবস্থানরত এক ব্যক্তির মাধ্যমে, মাস মেরিন এজেন্সি হইতে সাইন অন করিয়ে অত্র জাহাজে যোগদান করিয়েছেন। লাইট হাউজ ফাইল ফোটো জাহাজটি বর্তমানে ইরানের বন্দর আব্বাসে আছে।মরিয়ম কল্পনা চিঠিতে উল্লেখ করে বলেন,তার স্বামী সহ ৭ জন বাংলাদেশী নাবিক দীর্ঘ ৯ মাস যাবৎ বিনা বেতনে ঐ জাহাজে খাবার,পানি ও ডিজেল সহ নানারকম সমস্যায় ভূগছে।জাহাজটি দুবাই থাকাকালীন শারজায় অবস্থিত বাংলাদেশী এম্বাসীর সহায়তায় বাংলাদেশী নাবিক ৪র্থ ইঞ্জিনিয়ার ও চীফ অফিসার দেশে ফিরে আসতে সক্ষম হয়।কিন্তু তার স্বামী চীফ ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহমান সহ বাকি ৭ জন বাংলাদেশী নাবিক আটকে পরে যায়। SHARES জাতীয় সংবাদ বিষয়: Bangladesh maritime newsBreaking shipping newsবাংলা নিউজ