পাইওনিয়ার মেরিনার, ইঞ্জিনিয়ার আইনুল হক স্যার আর নেই

প্রকাশিত: ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, জুন ১৯, ২০২০

নিজস্ব সংবাদদাতা: ১৯৫০-এর দশকের নৌ-প্রকৌশলী আইনুল হক স্যার ছিলেন ‘Marine Professional Icon’। সারাটা জীবন ধরে তিনি পেশাগত সতীর্থদের শিক্ষা দিয়েছেন, সহযোগিতা করেছেন। তিনি তার জীবন রচনা করেছিলেন এক বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে মধ্য দিয়ে।
তিনি গত ৭ই জুন করোনাভাইরাস উপসর্গ নিয়ে রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হসপিটালে ভর্তি হন। পরবর্তীতে তার দুই দুইটি করোনা টেস্ট করা হয় এবং প্রতিটি টেস্ট এর রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। বার্ধক্যজনিত কারণে, আজ ১৯ জুন শুক্রবার সকাল ছয়টা দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হসপিটালে এই মেরিটাইম আইকন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল- ৮৩ বছর। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পরে বনানীর জামে মসজিদে মরহুমের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে, জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ১ সন্তানের জনক। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে এবং অসংখ্য অনুসারী রেখে যান। ইঞ্জিনিয়ার আইনুল হকের গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলায়।


তিনি পাইওনিয়ার মেরিনার্সের তৃতীয় গ্রুপের ৫ শিক্ষানবিশ (ক্যাডেট) এর একজন ছিলেন। তিনি ১৯৫৮-১৯৬২ সালে তার ৪ বছর শিক্ষানবিশ (ক্যাডেট) শেষ করেছেন এবং ৫ তম প্রকৌশলী হিসাবে এমভি শামস (একটি যাত্রীবাহী জাহাজ) এ যোগদান করেছিলেন। পাইওনিয়ার মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আইনুল হক এই ৫ বর্ণাঢ্য পাইনিয়ার মেরিনারদের মধ্যে শেষ জীবিত ব্যক্তি ছিলেন। তিনি যুক্তরাজ্য থেকে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং certificate of competency ক্লাস -১( মটর এবং স্ট্রিম কম্বাইন্ড) অর্জন করে। তিনি দীর্ঘদিন যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শিপিং কোম্পানিতে চিফ ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্ব পালন করেন। ইঞ্জিনিয়ার আইনুল হক ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ারিং কাউন্সিল ঘোষিত একজন চার্টার্ড ইঞ্জিনিয়ার। সর্বশেষ তিনি lloyd’s register of shipping (বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর এবং হংকং )কর্মরত ছিলেন। 2003 সালে lloyd’s register of shipping এর বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। এই গগনচুম্বী প্রতিভার অধিকারী, মেরিন আইকন, পাইওনিয়ার মেরিনার,  ইঞ্জিনিয়ার আইনুল হকের মৃত্যুতে বাংলাদেশের মেরিটাইম সেক্টরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ‌ মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সাজিদ হোসেন এই পাইনিয়ার মেরিনার ইঞ্জিনিয়ার আইনুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং মরহুমের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।