বৈরী আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রাম বহির্নোঙ্গরে খালাস বন্ধ

প্রকাশিত: ৮:৫১ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২০

নিজস্ব সংবাদদাতা-  বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল থাকায় বহির্নোঙরে ৩১টি বিদেশি জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে।

বুধবার থেকে সেখানে কোন জাহাজ থেকে পণ্য লাইটারিং হচ্ছে না। চট্টগ্রাম বন্দর লাইটারিং ঠিকাদার সমিতির সভাপতি হাজি শফিক আহমদ-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে লাইট হাউজ নিউজ ক্লাবকে জানান, দু’দিন ধরে আবহাওয়া বিরূপ। আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সংকেত দেখিয়েছে। সাগর অত্যন্ত উত্তাল। কোন লাইটার বহির্নোঙরে যেতে পারছে না। লাইটারমূহ নিরাপদ আশ্রয়ে নোঙর করে আছে । তাছাড়া, মাঝেমাঝে বৃষ্টিও হচ্ছে। বড় বড় জাহাজের হ্যাচ বন্ধ রাখা হয় মাল ভিজে যাওয়ার আশংকায়।তাই বহির্নোঙরে অবস্থানরত জাহাজসমূহ থেকে আমদানি পণ্য খালাস ব্যাহত হয়ে পড়েছে।

ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের (ডব্লিউটিসি) নির্বাহী পরিচালক মাহবুব রশীদ জানান, খারাপ আবহাওয়ার কারণে লাইটার বরাদ্দ বন্ধ। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার বার্থিং সভা হয়নি। সাগর উত্তাল থাকায় প্রবল স্রোত ও ঢেউয়ের কারণে কোন লাইটার জাহাজ দু’দিন ধরে বহির্নোঙরে যাচ্ছে না।আবহাওয়া অনুকূল হলে কেবল তখন জাহাজ বহির্নোঙরে যাবে এবং লাইটারিং শুরু হবে।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, বহির্নোঙরে ৩১ টি বড় জাহাজ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৮টিতে খাদ্যশস্য, ৫টিতে সিমেন্ট ক্লিংকার, একটিতে চিনি এবং ১৭টিতে অন্যান্য সাধারণ পণ্য রয়েছে।

বিভিন্ন শিল্পগ্রুপের নিজস্ব লাইটার জাহাজ রয়েছে তাদের আমদানি করা সিমেন্টের কাঁচামাল ক্লিংকার এবং ভোগ্যপণ্য পরিবহনের জন্য। এক শিল্পগোষ্ঠির প্রধান নির্বাহি জানান, কেবল তাদের নয় বহির্নোঙরে কারও পণ্য খালাস হচ্ছে না খারাপ আবহাওয়ার কারণে।

বড় বড় যেসব জাহাজ আমদানি পণ্য নিয়ে আসে তার সবগুলো জেটিতে আসতে পারে না। বেশির ভাগ সমূদয় পণ্য বহির্নোঙরে লাইটারে খালাস করে ফিরে যায়। কেবল কিছু জাহাজ জেটিতে আসে। তার আগে বহির্নোঙরে নির্দিষ্ট পরিমানে মাল খালাস করে। বহির্নোঙরে লাইটার করা মাল দেশের ৩৭টি ঘাট ও শিল্পমালিকদের কারখানার ঘাটে নিয়ে খালাস করা হয়। তার বড় অংশই সিমেন্ট শিল্পের কাঁচামাল, ইস্পাতের কাঁচামাল, কয়লা, সার, ভোগ্যপণ্য প্রভৃতি।