বিজয়ের আলো বাংলাদেশের প্রথম ভাসমান বিদ্যুৎ কেন্দ্র

প্রকাশিত: ১:১৯ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৭, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশে যে ভাসমান বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে তা আমাদের দেশের 99 শতাংশ মানুষের অজানা। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বড়াল নদীর তীরে ভাসমান বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র “বিজয়ের আলো” কে ঘিরে দিন দিন পর্যটন আকর্ষণ বাড়ছে। তাই প্রতিদিন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এই ভাসমান বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেখার জন্য শত শত মানুষ ভীড় করছে বড়াল নদীর তীরে বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দর এলাকায়। ২০০১ সালে বেসরকারি ওয়েস্টমন্ড কোম্পানির ভাসমান বিদ্যুৎ কেন্দ্র (বিজয়ের আলো-১) কে ঘিরে পর্যটন আকর্ষণ বাড়ছে। এটি শাহজাদপুরের বাঘাবাড়িতে স্থাপনের মাধ্যমে মোট ১৭১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করছে। শিল্প ও কৃষি কাজের জন্য বিখ্যাত শাহজাদপুর উপজেলায় চাহিদা অনুযায়ী নিরবছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ বরাবরই কঠিন হয়ে পরছে। এ কারণে ঘন ঘন লোডশেডিং এ উপজেলায় এক অসহনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। সূত্রে জানা যায়, গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় ওয়েস্টমন্ড কোম্পানির ভাসমান দুটি বিদ্যুৎ প্লান্ট তাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন কমাচ্ছে। সমুদ্র পথে মালয়েশিয়া থেকে আনা বিজয়ের আলো-১ ও ২ ভাসমান বিদুৎ প্লান্ট বঙ্গপোসাগরের অদুরে জলদস্যুদের ছিনতাইয়ের কবলে পরে অনেক মূল্যবান যন্ত্রাংশ খোয়ায় ।

তার ফলে বাঘাবাড়ী বন্দরে পিডিবির বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের পাশেই বড়াল নদীতে ভাসমান প্লান্ট স্থাপনে বিলম্বিত হয়। শাহজাদপুর উপজেলায় বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট পাওয়ারলোম তাঁত আর মিল্ক ভিটা কারখানার কারণে বিদ্যুৎ এর উপর অধিক চাপ বেড়েই চলছে। এ ছাড়াও ইরিগ্রেশনের সময় উপজেলার প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদের এক তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট হওয়ায় মফস্বলের গ্রামগুলোতে অধিক মাত্রায় লোডশেডিং পরিলক্ষিত হয়। এ লোড শোডিং এর মাত্রা কমাতে বাঘাবাড়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন প্লান্ট পিডিবি এর সাথে বেসরকারি ওয়েস্টমন্ড কোম্পানির “বিজয়ের আলো -১ ও ২” সংযোজিত হলে কিছুটা বিদ্যুৎ ঘাটতি কমে আসে। বড়াল নদীর তীরে বাঘাবাড়ী নৌবন্দরের পূর্ব প্রান্তে ভাসমান এই বিদ্যুৎ প্লান্ট দর্শনার্থীদের জন্য বেশ আকর্ষণীয়। পানিতে ভাসমান বিজয়ের আলো -১ ও ২ এর লম্বা দুটি টাওয়ার রাতের আধারে অনেক দুর থেকে আলোকিত দেখা যায়। সুউচ্চ টাওয়ার দুটি আকাশের দিকে মাথা উচু করে জানান দিচ্ছে তাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ভিন্নতা ।

বাঘাবাড়ী বন্দরের অনেক দুর থেকে তাকালে যে কেউ বিজয়ের আলোর সুউচ্চ টাওয়ার চোখে পড়ে। যার মাথায় বাংলাদেশের পতাকা অঙ্কিত রয়েছে। তাই শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ীতে ভাসমান বিদ্যুৎ প্লান্ট দেখতে অনেকেই শাহজাদপুরে আসেন। বিশেষ করে নৌকায় উঠে ভাসমান বিদ্যুৎ প্লান্টের নিকটে গিয়ে এর বিশেষত দেখলে বিষ্মিত হতেই হয়। বিদ্যুৎ প্লান্টটি সুষ্ঠভাবে রক্ষণা বেক্ষণের জন্য এখানে রয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্ঠনি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি ইউনিট সার্বক্ষণিক পাহাড়ায় সতর্কভাবে অবস্থান করছে।