৪৮,৮৭০ কেজি বিপদজনক রাসায়নিক পদার্থ ধ্বংসের প্রস্তুতি,চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষ

প্রকাশিত: ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০২০
লাইট হাউজ ফাইল ফোটো

নিজস্ব সংবাদদাতা : গত ১৫ বছর যাবৎ চট্টগ্রাম বন্দরের পি শেড দখল করে পড়ে আছে ৪৮,৮৭০ কেজি বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থ।এসব রাসায়নিক পদার্থ বন্দরে দীর্ঘদিন পড়ে থাকার পরও সেগুলো ধ্বংস বা সরিয়ে ফেলার কোন উদ্যোগ নেয়নি বন্দর কিংবা কাস্টমস। গত আগস্টে লেবাননের বৈরুত বন্দরের ভিতর পড়ে থাকা রাসায়নিক বিস্ফোরনের পর বড় ধরনের হতাহতের ঘটনার পর নড়ে উঠে চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস।তাই এসব রাসায়নিক পদার্থগুলো সিলেটের সুনামগঞ্জে নিয়ে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম কাস্টমস কতৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার ফয়সাল বিন রহমান বলেন, ৪৮ হাজার ৮৭০ কেজি বিপজ্জনক রাসায়নিক ধ্বংস করার জন্য ২ডিসেম্বর সকালে ৩টি কাভার্ডভ্যান রাসায়নিক পদার্থগুলো নিয়ে সিলেটের সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। ওই রাসায়নিক পদার্থগুলো আগামী ৬ ডিসেম্বর ধ্বংস করা হবে ।কাস্টমসের পণ্য ধ্বংস করার কমিটি সদস্যর উপস্থিতে এই কাজ সম্পূর্ন করা হবে বলে জানায়।

তিনি বলেন, মুলত এই ধরনের বিপদজনক রাসায়নিক ধ্বংসের সক্ষমতা ও অভিজ্ঞতা রয়েছে সিলেটের লাফার্জ হলসিম সিমেন্ট কোম্পানির। তাই চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সেগুলো সেখানে নেয়া হচ্ছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, মুলত বৈরুত বিস্ফোরনের পর বন্দরে পড়ে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ পণ্যের তালিকা করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ১৫ বছরের পুরোনো ৪৮ হাজার ৮৭০ কেজি  বিপদজনক রাসায়নিক  পদার্থ বন্দরের পি শেড গুদামে ছিল। তালিকা ধরে সেগুলো প্রথমে নিলামে তোলা হয় কিন্তু নিলামে তেমন সাড়া না পাওয়ায় সেগুলো ধ্বংসের উদ্যোগ নেয় কাস্টমস। যে কোন ধরনের বিপদজনক রাসায়নিক পণ্য ধ্বংস করার জন্য  পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছ থেকে ধ্বংসের অনুমতি নেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এরপর সেগুলো পরিবশের ক্ষতি না করেই ধ্বংস করার প্রস্তুতি নেয়া হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, দ্রুত এসব রাসায়নিক সরিয়ে নেয়া আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল; কিন্তু শেষপর্যন্ত আমরা সেটি করতে সক্ষম হয়েছি।