Belgium's historic dredger excavating the Rabnabad channel is now in Bangladesh!

রাবনাবাদ চ্যানেল খননে বেলজিয়ামের ঐতিহাসিক ড্রেজার এখন বাংলাদেশে!

প্রকাশিত: ১:৩৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২১
লাইট হাউজ ফাইল ফোটো

নিজস্ব সংবাদদাতা :  রাবনাবাদ চ্যানেল খননে বেলজিয়ামের ঐতিহাসিক ড্রেজার এখন বাংলাদেশে! পটুয়াখালীর আন্ধারমানিক নদী রাবনাবাদ চ্যানেল।বঙ্গোপসাগর থেকে নির্মানাধীন পায়রা সমুদ্র বন্দর কে যুক্ত করা এই চ্যানেলটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৭৫ কিলোমিটার। দেশের তৃতীয় ও বৃহত্তম বন্দরটি চালু হলে মূলত এই চ্যানেল দিয়ে যাওয়া আসা করবে দেশ-বিদেশ থেকে আসা বিভিন্ন জাহাজ।

তবে দেশের অন্যান্য সমুদ্র বন্দরের মত নাব্য সঙ্কটে যেন পড়তে না হয় তাই আগেভাগেই সেইদিকে নজর কর্তৃপক্ষের।ইতিমধ্যেই বেলজিয়ামের ড্রেজিং কম্পানি জান ডে নুল এর একটি বিশাল জাহাজ এসে পৌঁছেছে বাংলাদেশের আন্ধারমানিক নদীতে। পথে রয়েছে এমন আরও তিনটি জাহাজ।

বঙ্গোপসাগর থেকে পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল পর্যন্ত প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রাবনাবাদ চ্যানেলটি বেলজিয়াম থেকে আনা লাক্সেমবার্গ পতাকাবাহী DIOGO CAO অত্যাধুনিক ড্রেজার জাহাজ দ্বারা ড্রেজিং করা হচ্ছে। ড্রেজিং এর দায়িত্ব পাওয়া বিদেশি সংস্থাটি বলছে এর ফলে পুরো এই চ্যানেলটি সারা বছরে কমপক্ষে ৬.৫ মিটার গভীরতা অব্যাহত থাকবে এবং এর ফলে যে কোন দেশ থেকে আসা বড় বড় পণ্যবাহী জাহাজ সহজেই পায়রা সমুদ্র বন্দরে যাওয়া-আসা করতে পারবে।

ড্রেজিংয়ের প্রধান কর্মকর্তা জানায়,

নাব্যতা ধরে রাখতে গড়ে ১১৫ মিটার প্রশস্ত এই চ্যানেলটি থেকে বছরে ৪ মিলিয়ন ঘনমিটার পলি মাটি অপসারণ করাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন,  এটি একটি অত্যাধুনিক বিশেষায়িত ড্রেজার জাহাজ যা নদী খনন করে পলিমাটি বা বালি তুলে এনে সরাসরি জাহাজের মধ্যে জমা রেখে পরবর্তীতে বঙ্গোপসাগরে ফেলে আসা হবে।১৮ মাসের মধ্যেই পুরো ৭৫ কিলোমিটার চ্যানেলে ৬ দশমিক ৫ মিটার নাব্য নিশ্চিত করতে পারবে তারা। কিন্তু চ্যানেলটি অনেক প্রশস্ত হাওয়ায় কাজটি কঠিন। তবে এই ড্রেজার দিয়ে সুয়েজ খালও খনন করা হয়েছে বলে জানান তারা। তাই এ কাজটি করতে সফল হবে বলে তারা আশা করছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, রাবনাবাদ চ্যানেল খননে বেলজিয়ামের ঐতিহাসিক ড্রেজার এখন বাংলাদেশে এসে পৌছেছে। রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং এর ফলে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ২০০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩০ মিটার প্রস্থের জাহাজ সহজেই বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে।

পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কল্লোল বলেন, পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলে সিল্টেশন অনেক বেশি। ২০২০ এর সেপ্টেম্বরে আমরা বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর সহায়তায় পুরো চ্যানেলটি জরিপ করি। এতে চ্যানেলের কিছু কিছু জায়গায় ২০ সেন্টিমিটার থেকে ৪০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত সিল্টেশন পাওয়া যায়। ইতিপূর্বে যারা বলেছিল যে সিল্টেশনের দাম অনেক বেশি, তো আমরা সেটা পাইনি। তবে এটা দিয়েই চ্যানেলকে মেনটেন করা সম্ভব।

নৌ প্রতিমন্ত্রী জানায়, ১৮ মাস রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং শেষে শুরু হবে ক্যাপিটাল ড্রেজিং। যার মাধ্যমে চ্যানেলটির গভীরতা বাড়বে ৬.৫ থেকে ১০.৫ মিটার পর্যন্ত। তিনি বলেন,  যেহেতু এটা একটি নতুন বন্দর সেহেতু এখানে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের প্রয়োজন হচ্ছে। ভবিষ্যতে ক্যাপিটাল ড্রেজিং হয়ে যাওয়ার পরে আমরা আমাদের মেনটেইন্যান্স ড্রেজিং দিয়েই বন্দরে জাহাজ চলাচল সচল রাখতে পারব।

এছাড়াও নাব্য ধরে রাখতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে নদীর চুক্তি বাস্তবায়ন করার ওপর জোর দেয়ার তাগিদ দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ।

আরোও পড়ুন