Numerous imported reconditioned vehicles have been lying at Mongla port for a long time

মোংলা বন্দরে দীর্ঘদিন যাবৎ পড়ে আছে আমদানিকৃত অসংখ্য রিকন্ডিশন গাড়ি

প্রকাশিত: ৫:৪৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০২০
লাইট হাউজ ফাইল ফটো

নিজস্বসংবাদদাতা : মংলা বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে আমদানি করা অসংখ্য রিকন্ডিশন গাড়ি। ২০০৯ সালে বন্দর দিয়ে আমদানি শুরুর পর থেকে আনা গাড়িও আছে এই তালিকায়। বন্দর কর্তৃপক্ষ নিলাম প্রক্রিয়া শুরু করলেও তেমন সাড়া না থাকায় বাড়ছে এই সংখ্যাগুলো। এমন পরিস্থিতির জন্য আমদানিকারকদের মামলা কে দায়ী করছে কর্তৃপক্ষ।

প্রথম দেখায় মনে হতে পারে এটি কোন পুরাতন গাড়ির গ্যারেজ অথবা কোন ডাম্পিং পয়েন্ট। অথচ এগুলো সবই বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা রিকন্ডিশন গাড়ি, যার মূল্য ১০ লাখ থেকে শুরু করে কোটি টাকা দামের গাড়িও পড়ে আছে মংলা বন্দরের শেড ও ইয়ার্ডে। এতে আছে একোয়া, করোলা এক্সিও, ফিল্ডার, নোয়া, এলিয়ন, প্রিমিও এবং নিসান পিকআপ সহ দামি সব ব্র্যান্ড।এর মধ্যে কোন কোন গাড়ি পড়ে আছে ৮ থেকে দশ বছর যাবৎ।

২০০৯ সাল থেকে মংলা বন্দর দিয়ে গাড়ি খালাসের সুযোগ দেয় সরকার যার খরচও ধরা হয় এক তৃতীয়াংশ।রাজধানীর সঙ্গে দূরত্ব কম হওয়ায় দেশে আমদানি করা গাড়ির প্রায় ৬০ ভাগ খালাস হয় মংলা বন্দর দিয়ে। এ পর্যন্ত মংলা বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ্য এিশ হাজার।

বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্তমানে এ বন্দরের শেড ও ইয়ার্ডে গাড়ি আছে ৩,৭৫০  যার মধ্যে ৯০০ গাড়ি পড়ে আছে দীর্ঘদিন যাবৎ এবং এই বিষয়গুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য আমরা সরকারি পর্যায় এবং মংলা কাস্টমসের সাথে আলোচনা অব্যাহত রেখেছি।

কর্তৃপক্ষ বলেন, আমদানিকারকরা বিভিন্ন অজুহাতে গাড়িগুলো খালাস করছেন না কেউ কেউ বলছেন বন্দরের খরচ কম হওয়ায় জায়গার অভাবে অনেকে গাড়ির ফেলে রাখছেন। অন্যদিকে আবার মামলা করে নিলামও আটকে রাখছেন তারা। আবার কেউ কেউ শুল্ক ফাঁকি দিতে গাড়ি ফেলে রেখে নিলামের অপেক্ষায় থাকেন।তারা বলেন আমদানিকৃত গাড়ি ৩০ দিনের মধ্যে খালাস না করলে সে গুলোকে নিলামে তোলা হয়। কিন্তু মামলার কারণে যেমন নিলাম করা যায় না তেমনি সাড়াও মিলেনা।

মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করে দ্রুত বিষয়গুলো সমাধানের কথা জানালেন মংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান।