গিনি উপসাগরীয় অঞ্চলে রাসায়নিক ট্যাঙ্কারের ১৫ নাবিক অপহরণ

প্রকাশিত: ১:৩৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৪, ২০২১
লাইট হাউজ ফাইল ফোটো

মেরিটাইম ডেস্ক :   গিনি উপসাগরীয় অঞ্চলে রাসায়নিক ট্যাঙ্কারের ১৫ নাবিক অপহরণ করে জলদস্যুরা।গিনি উপসাগরীয় অঞ্চলে জলদস্যুতার ক্রিয়াকলাপ কিছুটা হ্রাস পাওয়ার পরে হঠাৎ আবারও একটি দূর্ঘটার খবর পাওয়া যায়।

সুরক্ষা পরিষেবাগুলি জানায়, ১১ই মার্চ একটি মাল্টিজ পতাকাবাহী রাসায়নিক ট্যাঙ্কার এমটি ডেভিড বি জাহাজে জলদস্যুরা আক্রমন করে এবং ১৫ জন ক্রু সদস্যকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আঞ্চলিক সুরক্ষা বাহিনী এই অঞ্চলে সম্ভাব্য অতিরিক্ত ক্রিয়াকলাপ পর্যবেক্ষণ করছে।

দ্যা মেরিটাইম ডোমেইন অ্যাওয়ারনেস ফর ট্রেড গালফ অফ গুনিয়া (এমডিএটি-জিওজি) যা রয়্যাল নেভির (ইউকেএমটিও) এবং ফরাসী নৌবাহিনী(এমআইসিএ) এর একটি যৌথ সহযোগিতা কেন্দ্র।

কেন্দ্রটি বলেন, ১৯,৮০০ ডিডাব্লিউটি’র কেমিক্যাল ট্যাঙ্কার এমটি ডেভিড বি জাহাজের ক্যাপ্টেন রিপোর্টে জানায় যে, মোট নয় জন সশস্ত্র জলদস্যু জাহাজের কাছে আসে এবং জাহাজে প্রবেশ করে।

এআইএসের তথ্যে অনুযায়ী জাহাজটি ফেব্রুয়ারিতে উত্তর ইউরোপ থেকে ছেড়ে আসে এবং এটি নাইজেরিয়ার অভ্যন্তরে, প্রায় ২২০ নটিক্যাল মাইল লাগোসের দক্ষিনে ১০ নট গতিতে চলছিল।

পরবর্তীতে এআইএস সিগন্যাল অন্ধকার হওয়ার আগে জাহাজটি ৩ নটেরও কম ধীর গতিতে চলা শুরু করে।

এমডিএটি-জিওজি বলছে যে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে এই প্রতিবেদন সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

পরে জাহাজটি নিরাপদ করার জন্য ঘটনা স্থলে নাইজেরিয়ান নৌবাহিনীর একটি টহল জাহাজ প্রেরণ করেন।

নাইজেরিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজটি বেশ কয়েক ঘন্টা পরে ঘটনা স্থলে পৌঁছায়।

অতঃপর তারা জানায় যে, জাহাজে কেবল মাএ ছয় জন নাবিক সদস্য আছে এবং তাদের সবাইকে জলদস্যুরা আহতও করেছে।

পরে জাহাজটিকে নাইজেরিয়ান নৌবাহিনীর নিরাপত্তায় নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রাথমিক প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল যে ডেভিড বি জাহাজে ২১ জন নাবিক ছিলেন।

যারা ইউক্রেনীয়, রোমানিয়ান এবং ফিলিপাইন জাতীয়তার নাগরিক এবং ধারণা করেন জলদস্যুরা মুক্তিপণ আদায় করবে বলে পনেরো নাবিক সদস্যকে জাহাজ থেকে নিয়ে গেছে।

পরে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালের মুখপাত্র ওলেগ নিকোলেনকো জাহাজের মালিকের সাথে কথা বলেন।

অতঃপর তিনি টুইটারে একটি বিবৃতি জানায় যে জাহাজটিতে কোনও ইউক্রেনীয় নাবিক ছিলেন না।

ড্রাইড গ্লোবাল

এদিকে সুরক্ষা বিশ্লেষক ড্রাইড গ্লোবাল জানায়, আক্রমণটি একটি বিশেষত বিপজ্জনক অঞ্চলে সংঘটিত হয়েছে।

গিনি উপসাগরীয় ঐ অঞ্চলে জলদস্যুদের আক্রমন করা এবং রাসায়নিক ট্যাঙ্কারের ১৫ নাবিক অপহরণ এ জাহাজের দুর্বলতার কারন একটাই।

কারণ ভেসেলগুলো সাধারণত আঞ্চলিক সুরক্ষা বাহিনীর অপারেশনাল এড়িয়ার বাহির দিয়ে চলাচল করছে।

২০২০ সালের মধ্যে অপহরণসহ পাঁচটি ঘটনা ঘটেছিল যা রিপোর্ট অনুযায়ী ৩০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে ঘটে বলে ড্রাইড ​​জানিয়েছেন।

এমডিএটি-জিওজি এবং ড্রাইড উভয়ই এই অঞ্চলের জাহাজগুলিতে উচ্চ ঝুঁকির সতর্কবার্তা পুনর্বিবেচনা করে উচ্চ স্তরের সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য নির্দেশ দেন।

ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে এমডিএটি দুটি বোর্ডিং এবং অপহরণের একটি ঘটনাসহ মোট পাঁচটি ঘটনার কথা জানায়।

এছাড়া বর্তমান ঘটনার আগে আর কোনও সাম্প্রতিক সফল বোর্ডিং হয়নি।

আরোও পড়ুন…

জার্মান কনটেইনার জাহাজে জলদস্যুদের হামলা এবং কনটেইনার লুটপাট