Release of 15 hijacked sailors aboard Turkish container ship

তুর্কী কন্টেইনার জাহাজের অপহরনকৃত ১৫ নাবিকের মুক্তি

প্রকাশিত: ১২:৩৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১
লাইট হাউজ ফাইল ফোটো

মেরিটাইম ডেস্ক :  তুর্কী কন্টেইনার জাহাজের অপহরনকৃত ১৫ নাবিকের মুক্তি দেয় জলদস্যুরা। গত মাসে গিনি উপসাগরে জলদস্যুদের দ্বারা অপহরণ হওয়া ১৫ জন তুর্কি নাবিক সদস্যদের নাইজেরিয়ায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বোডেন শিপিং সংস্থা জানায়, অপহরণকারীরা মুক্তিপণ নিয়ে আলোচনার জন্য যোগাযোগ করার দুই সপ্তাহ পরে তাদেরকে মুক্ত করে এবং নাবিক সদস্যরা ১৪ই ফেব্রুয়ারী রবিবার দেশে ফিরেছে বলে জানায়।

ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে ভোরে নাবিক সদস্যদের তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুট কাভুসোগলু এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা স্বাগত জানায়।অতঃপর তারা আত্মীয়দের আলিঙ্গন করেন।  তাদের মুক্তির দু’দিন পরে নাইজেরিয়ায় এই খবরটি প্রকাশিত হয় বলে জানা যায়।

কীভাবে তারা মৃত্যুর হুমকির মুখোমুখি হয়েছিল এবং তাদের তিন সপ্তাহের অগ্নিপরীক্ষার বর্ণনা দিয়ে জাহাজের ক্যাপ্টেন মোস্তফা কেয়া বলেন, তাদেরকে একটা বনে রাখা হয়েছিল এবং সেখানে কড়া পরিস্থিতি ছিল। তাদেরকে নিয়মিত সশস্ত্র লোক পাহারা দিয়ে রাখত।

লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী কনটেইনারশিপ মোজার্ট লাগোস থেকে কেপটাউনে যাচ্ছিল, তখন সাও টম দ্বীপ থেকে ১৬০ নটিক্যাল মাইল দূরে তাদের উপর জলদস্যুরা আক্রমণ করে। জলদস্যুরা মুক্তিপণ নিয়ে আলোচনার জন্য ২৮ শে জানুয়ারি বোডেন শিপিংয়ের সাথে প্রথম যোগাযোগ করেন।

 

সেই ভয়ানক দিন

ক্যাপ্টেন বলেন, অপহরণের সময় সকল নাবিক নিরাপদ ঘরে বন্দী ছিল কিন্তু পাঁচ ঘন্টা লড়াইয়ের পর তাদেরকে জলদস্যুদের সাথে যেতে বাধ্য করে। তারা নিয়মিত এলোমেলোভাবে ভিতরে গুলি চালিয়ে যাচ্ছিল। ঐ সময় আমাদের এক সহকর্মীর পেটে গুলি করা হয় এবং সে মারা যায়। এতে আমরা অত্যন্ত দুঃখ ও ভয় পাই।

তিনি বলেন, জলদস্যুরা তাদেরকে শারীরিক নির্যাতন করেনি তবে তারা আলোচনার সময় মানসিক চাপ প্রয়োগ করে বলে যে, যদি আপনার সংস্থা আমাদের কথা মত কাজ না কর তাহলে আমরা আপনাকে হত্যা করব। অবশেষে তাদের সকলকে বোটে করে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সংস্থা কর্তৃক নির্দিষ্ট একটি নিরাপদ স্থানে ছেড়ে দেওয়া হয়।

মুক্তির পরে বোডেন শিপিংয়ের লেভেন্ট কারসান বলেন যে, নাবিকরা সকলেই সুস্থ আছেন। এটি রাজনৈতিক অপহরণ নয়। দুর্ভাগ্যক্রমে এই অঞ্চলে এই ধরনের অপহরণ ঘটে থাকে এবং মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে জলদস্যুরা এ ধরনের কাজ গুলো করে থাকে। নাবিকদের মুক্ত করার কথাবার্তা হামবার্গ ভিত্তিক একটি দল পরিচালনা করেছিল বলে তিনি জানায়।

কারসান আশা প্রকাশ করেন যে, এই ঘটনাটি জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের কর্মকর্তাদের এই অঞ্চলে জলদস্যুতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্ররোচিত করবে।

আরোও পড়ুন…

তুর্কি কনটেইনার জাহাজে জলদস্যুদের হামলা; ১ জন কে হত্যা ও ১৫ জন নাবিক অপহরণ