মৃত্যুর ১৯ দিন পর বিদেশি নাবিকের লাশ নামলো চট্টগ্রাম বন্দরে

প্রকাশিত: ৮:৫৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০২০
Light House

নিজস্ব সংবাদদাতা : আফ্রিকার দেশ সেনেগালের ডাকার সমুদ্রবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় জাহাজ ‘নিউ কারেজ’। জাহাজটিতে ছিল জাতিসংঘ মিশনের বিভিন্ন পণ্য। দাকার বন্দর থেকে রওনা দেয়ার পরদিন ২৪ অক্টোবর জাহাজেই মারা যান জাহাজের সেকেন্ড অফিসার ৫২ বছর বয়সী ‘জেসি ইকেটার। তার বাড়ী ফিলিপাইনে।

এরপর জাহাজটি আর থামেনি; দাকার থেকে রওনা দিয়ে দীর্ঘ সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে ১৯ দিন ধরে সাগরে থাকার পর নাবিকের লাশ নিয়ে গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে জাহাজটি। আজ বৃহষ্পতিবার জাহাজটি পণ্য নিয়ে ভিড়ে চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি জেটিতে।  এখন নাবিকের লাশ হস্তান্তর করে নিহত পরিবারের কাছে পাঠানোর চেষ্টা চলছে।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দরের ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম শিপিং এক্সপ্রেসকে বলেন, ‌‌সমুদ্রের জীবনটা এমনই মর্মান্তিক;একইসাথে চ্যালেঞ্জের। জাহাজেই মারা গেছেন নাবিক কিন্তু মাঝপথে তাকে উপকূলে নামিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। আমরা জানতে পেরেছি ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ৪ অক্টোবর জাহাজেই সে মারা গেছে।  এখন ফিলিপাইনি নাবিকের লাশ তার পরিবারের কাছে দ্রুত পৌঁছানোর প্রক্রিয়া চলছে। আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছি।

জানা গেছে, ‘নিউ কারেজ’ জাহাজটিতে সেনেগালে জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত বাংলাদেশি অফিসারদের বিভিন্ন সামগ্রী রয়েছে। বন্দরের এনসিটি জেটিতে ভিড়িয়ে জাহাজটি থেকে এসব পণ্য নামানো হচ্ছে। বন্দর হাসপাতালে নাবিকের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।

জানতে চাইলে জাহাজের শিপিং এজেন্ট গ্রেট ওশান শিপিং লাইনসের ক্যাপ্টেন হাসনাতের সাথে যোগাযোগ করলে ফোনে সাড়া না দেয়ায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, জাহাজের সেকেন্ড অফিসার ফিলিপাইনের নাগরিক জেসি ইকেটার গত ২৪ অক্টোবর ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন। বর্তমানে জাহাজটি বহির্নোঙ্গর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি ইয়ার্ডে আসার অপেক্ষায় রয়েছে। বন্দরে ভেড়ার পর এর ওই ব্যক্তিকে নিয়ম মেনে নামানো হবে এবং ময়নাতদন্ত শেষে লাশ যথাযথ কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হবে।