Five sailors of another fishing ship were abducted a few days later

অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে আরো একটি ফিশিং জাহাজের পাঁচ নাবিক অপহরণ

প্রকাশিত: ১২:০২ অপরাহ্ণ, জুন ৩, ২০২১
লাইট হাউজ ফাইল ফোটো

মেরিটাইম ডেস্ক :  অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে আরো একটি ফিশিং জাহাজের পাঁচ নাবিক অপহরণ করলো গিনি উপসাগরের জলদস্যুরা।

এত এত সুরক্ষা বাস্তবায়ন ও কঠোর টহলের মধ্যেও থামছে না এই অপহরণ। জলদস্যুরা তাদের কাজের ক্রিয়াকলাপ ক্রমশ প্রসারিত করে যাচ্ছে।

নাইজেরিয়ান এবং অন্যান্য কর্তৃপক্ষের বর্ধিত টহল এবং সুরক্ষার পরিকল্পনার বর্ধনের জবাবেই কি এমন হচ্ছে তা পরিস্কার নয়।

দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো, ঘানিয়ায় আরো একটি ফিশিং জাহাজে আক্রমণ করা হয়।

জাহাজের বেশ কয়েকজন ক্রু সদস্যকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।

ক্রমবর্ধমান ক্রিয়াকলাপের জন্য এই অঞ্চলের সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ সজাগ রয়েছে, তবে তার কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না কেন? এ প্রশ্ন সবার জেগে উঠছে।

৩১শে মে ব্রিটিশ রয়্যাল নেভী এবং ফরাসী নৌবাহিনীর মধ্যে সুরক্ষা সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা এমডিএটি-জিওজি ঘানা এবং বেনিনের নিকটবর্তী অঞ্চলে জলদস্যুতা কর্মকাণ্ডের ক্রমবর্ধমান হুমকির বিষয়ে সতর্কও করেন।

তারা অনুরোধ করেছিল যে জাহাজ এবং ক্রু যেন তাদের নজরদারি বাড়িয়ে সতর্ক থাকে।

গত ১৮ মাসজুড়ে এসব ঘটনাগুলো নাইজেরিয়ার ইইজেডের ঐতিহ্যবাহী ভূখণ্ডের বাইরে গায়ানা উপসাগরীয় অঞ্চলে পাইরেটিকাল পদচিহ্নের ইঙ্গিত দিয়ে যাচ্ছে।

এই অঞ্চলে নতুন আপডেটে সুরক্ষা বিশ্লেষকরা ড্রাইড গ্লোবালকেও সতর্ক করেন।

তিমার ঘানিয়া বন্দর থেকে আইরিস এস নামের একটি বাণিজ্যিক মাছ ধরার জাহাজ বেনিনের কোটনোন থেকে প্রায় ১০০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণে সর্বশেষ এই ঘটনাটি ঘটে বলে জানা যায়।

৫০০ গ্রস টনেজের জাহাজ, যা প্রায় ৪০ বছরের পুরনো, তাতে মোট ৩৬ জন নাবিক ছিল।

বিশেষজ্ঞরা ধারনা করছেন ধীর গতিতে চলমান এই জাহাজটি জলদস্যুদের পক্ষে সহজ লক্ষ্য বলেই আক্রমনটি করেন।

ঘানার গণমাধ্যম খবরে বলা হয়, ২৬শে মে আইরিস এস বন্দর ছেড়ে যায়।

পরবর্তীতে গতকাল সকালে বেনিনের জলসীমায় অপারেশন করার সময় তারা একটি অজ্ঞাতনামা জাহাজ দেখতে পায়।

অতঃপর প্রায় এক ঘন্টা পর দুটি স্কিফ মাছ ধরার জাহাজের কাছে এসে জাহাজটিকে থামাতে বাধ্য করে এবং সাতজন সশস্ত্র জলদস্যু জাহাজে আরোহণ করে।

সশস্ত্র জলদস্যুরা জাহাজ থেকে ক্রুদের ব্যক্তিগত সরঞ্জাম চুরি ও সাথে জাহাজের পাঁচ ক্রু সদস্যকে নিয়ে প্রায় এক ঘন্টা পরে মাছ ধরার জাহাজটি ত্যাগ করে।

আবারও ৫ নাবিক অপহরণ ! জলদস্যুদের গিনি উপসাগর বন্ধ করার প্রচেষ্টা বৃদ্ধি

অপহৃত ৫ ব্যক্তিদের মধ্যে ক্যাপ্টেন, চিফ অফিসার, সেকেন্ড অফিসার চিফ ইঞ্জিনিয়ার, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।

যাদের মধ্যে ৪জন ছিল কোরিয়ান নাগরিক এবং একজন ফিলিপিনো ইঞ্জিনিয়ার। বাকি ৩১ জন ক্রু সদস্য জাহাজে সুরক্ষিত ছিলেন।

কর্তৃপক্ষকে অপহরণের খবরও জানানো পর ঘানা নৌবাহিনীর একটি টহল বোট আইরিস এসকে বন্দরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।

জলদস্যুরা অপহরণকৃতদের নিয়ে নাইজার ডেল্টায় যেতে পারে বলে নৌবাহিনীর ধারনা।

তাই নৌবাহিনীর মনে হচ্ছে যে, জলদস্যুরা নাইজার ডেল্টায় পৌঁছানোর আগে তাদেরকে বাধা দেওয়া যেতে পারে।

অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে আরো একটি ফিশিং জাহাজের পাঁচ নাবিক অপহরণ হওয়ার উপর ভিত্তি করে ড্রাইডের বিশ্লেষণে দেখা যায় যে এক বছর আগের তুলনায় ২০২১ সালে এ অঞ্চলে সামগ্রিক জলদস্যু ঘটনা কমছে।

তারা জানায়, গত বছর ১১ টির তুলনায় এ বছর মোট ছয়টি ঘটনা ঘটেছে। তবে এ বছর অপহরণকারী ক্রু সংখ্যা  মোট ৬১ জনে এসে বেড়েছে।

মে মাসে নাইজেরিয়ান কর্তৃপক্ষ ডিপ ব্লু নামে তাদের নতুন উদ্যোগের বিষয়টি বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করেন।

যা নাইজেরিয়ান ইইজেডে সামুদ্রিক জনগোষ্ঠীকে রক্ষার জন্য পরিকল্পিত স্থলবাহিনী এবং বিমানবাহীনির সাথে নতুন সংস্থান সংযুক্ত করবে।

এই প্রচেষ্টাগুলো বাড়ার সাথে সাথে, জলদস্যুরা গ্রেপ্তার হওয়ার হাত থেকে বাচার চেষ্টায় আরও উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তারা।