কাঠালবাড়ি এবং শিমুলিয়ার ফেরি চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত: ৪:০০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৩, ২০২০

নিজস্ব সংবাদদাতা: মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে নৌযাত্রার উপযুক্ত অবস্থা সংকটের কারণে গতকাল সোমবার দুপুর থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ। আজ মঙ্গলবার সকালে এই নৌপথে পরীক্ষামূলক ফেরি চলার কথা থাকলেও সংকটের সমাধান না হওয়ায় উভয় ঘাট থেকে একটিও ফেরি ছাড়া হয়নি।
সকাল সাড়ে ১০টায় বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক ভজন সাহা মুঠোফোনে লাইট হাউজ নিউজ ক্লাবকে বলেন, ‘গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার পর থেকে আর কোনো ফেরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। নৌ চ্যানেলটি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত ফেরি ছাড়া যাবে না। আমরা যাত্রী ও পরিবহনশ্রমিকদের বিকল্প নৌপথ ব্যবহার করতে জানিয়েছি।’


এদিকে গতকাল থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রী ও পরিবহনশ্রমিকেরা। সকাল থেকে উভয় ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে কয়েক শ যানবাহন। তবে স্বাভাবিক রয়েছে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল। যাত্রীদের একটি বড় অংশ লঞ্চ ও স্পিডবোটে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পারাপার হচ্ছে। উভয় ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়া যানবাহনের চালকদের বিকল্প নৌপথ হিসেবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ ব্যবহার করার অনুরোধ জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া ফেরিঘাট সূত্র জানায়, নাব্যতা-সংকটে আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে এ নৌপথে ফেরি চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। গত দেড় মাসে ছয় দফায় অন্তত ২০ দিন বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল। গত এক মাসে ডুবোচরে আটকে পাঁচটি লঞ্চ তলা ফেটে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। ডুবোচরে আটকে চলাচলরত প্রতিটি ফেরি বাধার মুখে পড়েছে। সবশেষে গতকাল পরপর তিনটি ছোট ফেরি চায়না নৌ চ্যানেল পার হতে গিয়ে ডুবোচরে আটকে যায়। এরপর থেকে ফেরি চলাচল সাময়িক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উভয় ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়া যানবাহনের চালকদের বিকল্প নৌপথ হিসেবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ ব্যবহার করার পরামর্শ দেয় ঘাট কর্তৃপক্ষ।
জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের মেরিন কর্মকর্তা আহমদ আলী লাইট হাউজ নিউজ ক্লাবকে বলেন, নৌ চ্যানেলে বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং বিভাগ খননযন্ত্র বসিয়ে বালু কাটার কাজ করছে। তাই আজ ফেরি চলবে না। কাল বুধবার নাগাদ ফেরি চলতে পারে।
কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) মনিরুল ইসলাম, ‘ফেরি বন্ধ থাকায় টার্মিনাল ও সংযোগ সড়কে পণ্যবাহী দুই শতাধিক ট্রাক আটকা পড়েছে। আমরা তাদের বিকল্প নৌপথ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। এরপরও ফেরির অপেক্ষায় কিছু ছোট যানবাহন পারাপারের জন্য রয়েছে।