Shipless Baghabari river port in the naval crisis of Padma and Jamuna rivers

পদ্মা ও যমুনা নদীর নাব্য সংকটে জাহাজশূন্য বাঘাবাড়ী নৌবন্দর

প্রকাশিত: ১২:১৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
লাইট হাউজ ফাইল ফোটো

নিজস্ব সংবাদদাতা : পদ্মা ও যমুনা নদীর নাব্য সংকটে জাহাজশূন্য বাঘাবাড়ী নৌবন্দর। যমুনা নদীর তলদেশ বালুর স্তরে ভরাট। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় অসংখ্য ডুবোচর জেগে ওঠায় চাহিদা অনুযায়ী নেই ড্রাফট। এতে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি নৌবন্দরগামী পণ্যবাহী জাহাজগুলো পরিপূর্ণ লোড নিয়ে চলাচল করতে পারছে না। ফলে  অর্ধমাস যাবৎ জাহাজশূন্য হয়ে পড়ে আছে বাঘাবাড়ি নৌবন্দর। এতে ইরি-বোরো চাষের ভরা মৌসুমে উত্তরাঞ্চলে সার সংকটের আশঙ্কা’সহ কাজ না থাকায় দিশেহারা বাঘাবাড়ি নৌবন্দর শ্রমিকরা।

জ্বালানি তেল ও সারের জন্য উত্তরাঞ্চলের সবচাইতে বড় ডিপো সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী। শুষ্ক মৌসুমে পণ্য বোঝাই জাহাজ বাঘাবাড়ী নৌবন্দরে যেতে নদীতে ১০ থেকে ১২ ফুট পানির প্রয়োজন হয়। সময়মতো  ড্রেজিং না করায়  সেখানে এখন ৬ থেকে ৭ ফুট পানি, ফলে ডুবোচরে আটকে পড়েছে জাহাজ। ডুবোচরের কারণে এবং নদীতে পানি না থাকায় সময়মত বন্দরে যেতে পারছেনা নৌযান আটকে থাকতে হচ্ছে দিনের পর দিন। এ অবস্থায় লোকসানের অজুহাতে জাহাজ মালিকরা বাঘাবাড়ীতে নৌযান পাঠাতে রাজি হচ্ছেন না। জাহাজ শূন্য হয়ে পড়ছে ব্যস্ততম এই নৌবন্দর।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, নাব্যতার কারণে জাহাজ বন্দরে আসতে পারছে না,অনেক শ্রমিক কর্মহীন বসে আছে।বন্ধ হয়েছে প্রায় দেড় হাজার শ্রমিকের কর্ম। তারা বলছেন বর্তমানে জাহাজ থেকে ছোট ছোট টলারের মাধ্যমে পণ্য বন্দরে নিয়ে আসতে হচ্ছে এবং তাতে খরচের পরিমাণও বাড়ছে তাদের।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার জানায়, নাব্য সংকট নিরসনে ড্রেজিং চলছে এবং শীঘ্রই সাময়িক এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। তিনি বলেন, বাঘাবাড়ী পর্যন্ত পদ্মা এবং যমুনা নদীর যে সকল জায়গা দিয়ে নৌযান চলাচল করে সেগুলো তারা নিয়মিত ড্রেজিং করে কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে সাময়িক সমস্যার কারণে কিছুটা সময় লাগে ফলে বড় জাহাজ গুলো চলাচল করতে পারেনা। তবে এ সমস্যা খুব শীঘ্রই সমাধান হয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদী।

উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় ১৪ টি বাপার গুদামে রাসায়নিক সার ও জ্বালানি যায় এই বাঘাবাড়ী নৌ বন্দর থেকে।

আরোও পড়ুন…

রাবনাবাদ চ্যানেল খননে বেলজিয়ামের ঐতিহাসিক ড্রেজার এখন বাংলাদেশে!