Migrant boat sinks in Tunisian Mediterranean; 20 refugees die

তিউনিসিয়ার ভূমধ্যসাগরে মাইগ্রেন্ড বোট ডুবি; ২০ জন শরণার্থীর মৃত্যু

প্রকাশিত: ১২:২০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৫, ২০২০
লাইট হাউজ ফাইল ফটো

মেরিটাইম ডেস্ক : তিউনিসিয়ার কর্তৃপক্ষ জানায়, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালির দ্বীপ ল্যাম্পেদুসার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় তাদের বোটটি তিউনিসিয়ার উপকূলে ডুবে গেলে কমপক্ষে ২০ জন শরণার্থী মারা যায়। জাতীয় গার্ডের মুখপাত্র আলী আইয়ারি বৃহস্পতিবার রয়টার্সের বার্তা সংস্থাকে বলেন, তিউনিশিয়ার উপকূলরক্ষী বাহিনী পাঁচ জনকে উদ্ধার করেছে এবং অনুসন্ধান কার্যক্রম অব্যহত আছে।বোটটি অতিরিক্ত লোডের কারনে এক দিকে কাত হয়ে ছিল বলে এমন দুর্ঘটনা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ বেন জেকরি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানায় যে, কোস্টগার্ড এবং স্থানীয় জেলেরা তিউনিশিয়ার উপকূলীয় শহর সাফাক্স থেকে মৃতদেহগুলি দেখতে পেয়েছিল। আলী আইয়ারি বলেন, বোট ডুবে যাওয়ার সময় প্রায় ৪৫ জন যাত্রী ছিলেন।“বোটটি সাফ্যাক্স উপকূল থেকে প্রায় ৬ নটিক্যাল মাইল (৯.৬কিমি) দূরে ডুবে যায়। ২০টি মরদেহ উদ্ধার এবং আরও পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।  তারা সবাই সাব-সাহারান আফ্রিকা থেকে এসেছে বলে তিনি জানায় । তিউনিশিয়ার বন্দর শহর সফ্যাক্সের নিকটবর্তী উপকূলরেখা আফ্রিকা ও মধ্য প্রাচ্যের সংঘাত ও দারিদ্র্যের হাত থেকে পালিয়ে আসা এবং ইউরোপের উন্নত জীবনের সন্ধানের জন্য একটি প্রধান প্রস্থানস্থানে পরিণত হয়েছে।আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) দ্বারা প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সাল থেকে এই বিপজ্জনক সমুদ্র যাত্রায় কমপক্ষে ২০,০০০ মানুষ মারা গিয়েছিল এবং এই বছর ভূমধ্যসাগরে ৬২০ জনেরও বেশি মানুষ ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। জাতিসংঘ এই রুট কে বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক মাইগ্রেশন রুট বলে।লিবিয়া এবং তিউনিশিয়া থেকে বোটে করে এই বছর প্রায় ১৭,০০০ মানুষ ইতালি এবং মাল্টায় এসেছেন।