Captain dies on Italian container ship!

ইতালীয় কনটেইনার জাহাজে ক্যাপ্টেনের মৃত্যু!

প্রকাশিত: ৩:২০ অপরাহ্ণ, মে ৪, ২০২১
লাইট হাউজ ফাইল ফোটো

মেরিটাইম ডেস্ক :   ইতালীয় কনটেইনার জাহাজে ক্যাপ্টেনের মৃত্যু! সিঙ্গাপুর সহ তিন দেশে জাহাজটির প্রবেশ নিষিদ্ধ করে।

ইতালীয় পতাকাবাহী কনটেইনার আইটিএল লাইবারা জাহাজটি ভারত মহাসাগরে থাকাকালীন অবস্থায় জাহাজের ক্যাপ্টেন অসুস্থ হয়ে পড়েন।

এবং  ভারত মহাসাগর হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ডার্বান থেকে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার সময় নির্ধারিত যাত্রায় তিনি মৃত্যুবরন করেন।

ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন। ১৩ই এপ্রিল এই দুঃখজনক সংবাদটি প্রকাশিত হয়।

জাহাজটি মালাক্কা স্ট্রাইটের কাছে আসলে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।

আইটিএল লাইবারা জাহাজটি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে আসে তবে ক্যাপ্টেন কোভিড-১৯ -এ সংক্রামিত হওয়ার কারণে জাহাজটি সিঙ্গাপুরে প্রবেশ নিষিদ্ধ হয় বলে সিঙ্গাপুর কতৃপক্ষ জানায়।

অতঃপর জাহাজটিকে বাধ্য হয়ে জাকার্তার উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে হয়েছিল।

জাহাজটি ১৯শে এপ্রিল জাকার্তা এ্যাংকরেজ এড়িয়ায় নোঙর করেন এবং তখন থেকেই এখন পর্যন্ত নোঙ্গরে আছেন।

কারণ ক্যাপ্টেনের দেহে ইতালি হতে কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয় বলে সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদনের জন্য সিঙ্গাপুরের মতো ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া ও জাহাজটির প্রবেশ নিষিদ্ধ করেন।

জানা যায় ক্যাপ্টেন দোহা এবং জোহানেসবার্গ হয়ে ১ এপ্রিল ডার্বনে জাহাজে উঠে।

ইতালীয় কনটেইনার জাহাজে ক্যাপ্টেনের কভিড -১৯ এর কারণে মৃত্যু হয়  বলে অফিসিয়ালি জানানো হয়।

জলবায়ু হুমকির মুখে বাংলাদেশের ৩ কোটি মানুষ

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। অথচ এর জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়। এদিকে সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাওর এলাকা জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা ১ মিটার বেড়ে গেলে বাংলাদেশের ১৭ ভাগ ভূমি পানিতে তলিয়ে যাবে।
এতে প্রায় ৩ কোটি মানুষ উদ্বাস্তু হতে পারে। হারাতে পারে তাদের আজন্মের পরিচিত গ্রাম। এখন পর্যন্ত জলবায়ুর প্রভাবে ৬০ লক্ষ বাংলাদেশি বাস্তুহারা হয়েছে। অথচ এই দরিদ্র ও নিরীহ মানুষগুলো নিজেরা কোনোভাবেই জলবায়ু-সংকট সৃষ্টির জন্য দায়ী নয়। পরিবেশের জন্য দায়ী অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণকারী উন্নত দেশ সমূহ। এর দায় তাদের নিতে হবে। একা বাংলাদেশের পক্ষে এই সংকট মোকাবিলা করা সম্ভবও নয়। প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা। যেসব দেশ বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য মূলত দায়ী।বাংলাদেশ ও অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশের পাশে এসে তাদের দাঁড়ানো উচিত।
লাইট হাউজ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন কে সামনে রেখে সরকারের কাছে কিছু পরামর্শ তুলে ধরছি।
১. দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলকে দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করতে হবে।
২. উপকূল উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে।
৩. জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগকে মাথায় রেখে স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ পুন:নির্মাণ করতে হবে।
৫. বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জরুরী তহবিল গঠন ও বাঁধ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
৬. উপকূলীয় মানুষের খাবার পানির স্থায়ী সমাধান করতে হবে।
৭. বিশ্ব জলবায়ু তহবিল থেকে পাওয়া অর্থ কোন কাজে ব্যবহার হয় তার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
৮. দুর্যোগ প্রবণ দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল, চর ও দ্বীপাঞ্চলবাসীর জানমাল সুরক্ষায় কার্যকর অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে।
৯. প্রতিটি জাতীয় দিবসে গাছ লাগানো কর্মসূচি বাধ্যতামূলক করতে হবে।
১০. ক্লাইমেট মাইগ্রেন্ডদের নিয়ে সরকারিভাবে সমীক্ষা চালাতে হবে।
১১. পাঠ্যসূচীতে ক্লাইমেট এডপশন, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের বিষয়গুলো যুক্ত করতে হবে।

পৃথিবী

পৃথিবীকে বাসযোগ্য করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। অভিযোজন ও গ্রিন হাউস নির্গমন কমিয়ে আনতে ব্যক্তিগত ও সামষ্টিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বিশ্ব গড়তে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এখনই উদ্যোগী হতে হবে।
একটি দেশের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার জন্য ভূখন্ডের অন্তত ২৫ শতাংশ বনাঞ্চল থাকা প্রয়োজন। বনায়নের বিষয়ে সরকারকে আরও জোরালো এবং কঠিন ভূমিকা পালন করতে হবে।
প্যারিস চুক্তির অঙ্গীকারের অংশ হিসাবে জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশের জন্য ২০২০ সাল থেকে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার তহবিল উত্তোলনের একটি বিধান রাখা হয়েছিল তবে এখনো এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি। প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফিরে আসার পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্যোগ জলবায়ু পরিবর্তন-জনিত ঝুঁকি প্রশমনে বিশ্বনেতাবৃন্দকে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে।
আমরাও চাই বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক আগামী দিনের মহা চ্যালেঞ্জ জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ঝুঁকি এড়ানোর জন্য সবাইকে এখন থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করতে হবে।

আরোও পড়ুন…

করোনা সংকটে নাবিকদের জন্য চাই রাষ্ট্রীয় সমর্থন